পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sessists e.So বললেন, নইলে সেটাও না কি আমি হারাবো ! গুরুজনের আদেশ অবহেলা করা উচিত নয়, বিশেষ একটা আংটি ও টুপী যখন হারালো, তখন এটার সম্বন্ধে সাবধান হওয়া কৰ্ত্তব্য বিবেচনা ক’রে আমি তৎক্ষণাৎ - সে আংটিটি খুলে কাগজে মুড়ে আমার ওভার-কোটের ভিতর দিকের বুক-পকেটে রেখে দিলুম। এইখানেই বলে রাখি, ভ্রমণ-শেষে কলিকাতায় ফিরবার পর খাণ্ডোয়ার পুলিশের কার্য্যতৎপরতায় আমার সে আংটিটি পাওয়া গিয়েছিল, আমিও প্রতিশ্রুত দশটী টাকা খাণ্ডোয়ার পুলিশ ইন্সপেক্টর মহাশয়কে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ; কিন্তু জলধরদা’র কথায়, হারাবার ভয়ে যে দ্বিতীয় আংটিটি পকেটে রেখেছিলাম, তিনি যে কবে, কোথায়, কেমন করে অন্তৰ্হিত হয়েছিলেন, সে আজও জানতে পারিনি। রাত্ৰি প্ৰায় এগারোটা নাগাদ গাড়ী ভুসাওয়াল জংসনে এসে পৌঁছিল। ডাক্তার সতীশদাস আমাদের নিকট বিদায় নিয়ে অতি ক্ষুন্নমনে চলে গেলেন। এই সদানন্দ সরল বিনয়ী বন্ধুটির সঙ্গ ছাড়তে হ’লো ব’লে আমাদের সকলেরই মন একটু ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। ভুসাওয়ালের একটি ষ্টেশন পরেই জালগাও জংসন। অজন্তার যাত্রীদের এইখানেই নামতে হয়। আমরা রাত্ৰি প্ৰায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ জালগাও জংশনে এসে নােমলুম। রাত্রের মতো ষ্টেশনের ওয়েটিংরুমেই থাকার ব্যবস্থা করা গেল। স্থির হ’লো, পরদিন অতি প্ৰত্যুষে একখানি মোটর নিয়ে আমরা অজন্তা দেখতে যাবো । অজন্তা এখান cथएक भौद्ध मंझेिख्रिश्न भांशेन शूद्र । ষ্টেশনের ধারে খাবারের দোকানে যা পাওয়া গেল তাই কিছু কিছু কিনে এনে বঙ্কিমবাবু ও দিবাকরবাবু তাদের রাত্রিভোজন সমাপ্ত করলেন। আমি ও জলধরদাদা শুধু দু’কাপ চা ও সামান্য কিছু মিষ্টান্ন খেলুম। তারপর ওয়েটং-রূমের বড় বড় বেতের বেঞ্চি ও ইজিচেয়ারগুলিতে কম্বল ।