পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DSD . অজস্তাৱ পথে । বিছিয়ে যে যার শুয়ে পড়লুম। জলধরদাদা বললেন, পা-দুটাে বড় কামড়াচ্ছে হে নরেন, কাউকে ধরে একটু টিপিয়ে নিতে পারলে হ’তো। আমি । ষ্টেশনের একজন কুলিকে কিছু দিয়ে দাদার পা টেপাবার ব্যবস্থা করে . দিলুম। একটি বৰ্ম্ম-চুরুট টানতে টানতে পা টেপানোর আরাম পেয়ে দাদা । ঘুমিয়ে পড়লেন। আমি কুলিটিকে বিদায় করে ওয়েটিং-রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আলোটি কমিয়ে শুয়ে পড়লুম এবং অজস্তার স্বপ্ন দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লুম। কিছুই টের পাইনি। পরদিন ভোর পাঁচটায় দাদা আমাদের ডেকে তুলে দিলেন। সবাই উঠে পড়ে মুখহাত ধুয়ে, চা ও জলযোগ সেরে অজন্ত যাবার জন্য প্ৰস্তুত হ’য়ে সেই মুসলমান যুবকটির নির্দেশ-মত ঠিকানায় ষ্টেশনের একজন চাপরাশীকে মোটর আনতে পাঠিয়ে দিলুম। অবিলম্বে সে একখানি সুন্দর মোটর গাড়ী এনে হাজির করল । কিন্তু সে গাড়ীখানি অজন্তায় যেতে আসতে চল্লিশ টাকা ভাড়া চাইলে ব’লে, তাকে বিদায় করে দিয়ে আমরা অন্য মোটরের সন্ধান করতে বেরুলেম ; কারণ আমরা শুনেছিলুম জালগাও থেকে কুড়ি টাকায় অজন্ত যাতায়াতের জন্য মোটর পাওয়া যায়। পেলুমও তাই। আমাদের বাক্স-বিছানা প্ৰভৃতি মালপত্র সমস্ত ষ্টেশন-মাষ্টারের জিন্মায় । রেখে, আমরা বেলা সাতটার মধ্যেই অজন্তায় রওনা হলুম। পথে একটি ; হোটেল দেখতে পেয়ে সেখান থেকে কিছু পাউরুটি, কলা ও মিষ্টান্ন কিনে নিলুম। সারাদিন অজন্তা-গুহায় কাটাতে হবে ; সুতরাং আজকে এই পাউরুটি ও কলার সাহায্যেই মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিতে হবে স্থির হ’লো। এখানকার “মিষ্টান্ন’ দেখলুম “পোড়া” জাতীয়, কিন্তু, ক্ষীরের পরিবর্তে চিনির প্রাধান্য খুব বেশী। .