পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Na2S SFSINS PSR আমাদের মোটর শীঘ্রই সহর ছাড়িয়ে এসে মাঠের রাস্তা ধরলে। জালগাও সহরটি ছোট হ’লেও রাস্তাঘাট বেশ ভালো। বড় বড় বাড়ীঘরও যথেষ্ট। দোকানপাট ও হাটবাজারেরও অভাব নেই দেখলুম। পথে দু’ একটি তুলোর কলও চােখে পড়লো। এখানকার মোটর-ব্যবসায়ীরা অধিকাংশই মুসলমান এবং অতিশয় ভদ্র। আমাদের গাড়ী একটু জোরে চালিয়ে নিয়ে যেতে বলায় তৎক্ষণাৎ তারা গাড়ীর গতি বাড়িয়ে দিলে। টানা চব্বিশ মাইল চলে এসে আমাদের গাড়ী কিছুক্ষণের জন্য পাহুরে থামলো। পাহুর থেকে অজন্তার দূরত্ব আর তেরো মাইল মাত্র। যে পথে মোটর-বাস যাত্রী নিয়ে অনবরত যাতায়াত করে, পাহুর সেই পথের একটা মন্ত ঘাটি । এইখানে উত্তর বা দক্ষিণ দিকের দূরের যাত্রীদের বাস বদল করতে হয়। আমাদের মোটর-গাড়ীর চালক ও পরিচারক পাহুর থেকে তাদের নিজেদের জন্য কিছু খাদ্য-সামগ্ৰী সংগ্রহ করে নিলে দেখলুম। পাহুর একেবারে ইংরাজ অধিকারের সীমানায়। এর পর থেকেই নিজাম রাজ্য আরম্ভ হ’য়েছে। অজন্তা নিজাম রাজ্যের অন্তৰ্ভুক্ত । জালগাও থেকে অজন্ত যাবার পথে পথিকদের জন্য রাস্তার ধারে বরাবর দণ্ড-সংলগ্ন কাঠফলকে পথ-নির্দেশ জ্ঞাপন করা রয়েছে, দেখা গেল। এক যায়গায় আমরা দেখলুম একটি কাঠফলকে লেখা রয়েছে “The Ghat begins”। খানিকদূর এগিয়ে দেখি আর একখানি *ië***(35 (-121 (3Cg “The Ghat ends", verjast abt,35 xffeb5 ভারতের পশ্চিম ঘাট বলেই ধ’রে নিলুম। নিজাম রাজ্য যেখান থেকে সুরু হ’য়েছে, সেখানেও একটি কাঠফলকে সে কথা লিখে পথিকদের বিজ্ঞাপিত করা হ’য়েছে। অজন্ত যাবার পথে দু’ধারে কেবল তুলোর চাষই চাখে পড়লো।