পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জকবলপুর । মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখতে গেলে নৌকা ভাড়া করে যেতে হয়। ওখানকার । জেলা-বোর্ড দর্শকদের জন্য দুইখানি বোটের ব্যবস্থা করে রেখেচোন। প্রত্যেক বোটের ভাড়া এক টাকা দশ আনা । এর জন্য একটা আফিস আছে। আমরা সেই আফিসে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে প্রায় । পঞ্চাশ যাটটা সিড়ি নেমে জলের কিনারায় গেলাম। সেখান থেকে বোটে । উঠে মাৰ্বল-পাহাড়ের মধ্যে প্ৰবেশ করলাম। নৰ্ম্মাদার একটী ক্ষুদ্র শাখার দুই পার্শ্বে মাৰ্ব্বল-পাহাড়। জলও খুব গভীর। এই শাখা নদীটাি একটা খালের মত। কোন স্থানে দশ হাত, কোন স্থানে পনর কুড়ি হাত প্ৰশস্ত। দুই দিকে নানা রংয়ের মাৰ্বল পাহাড় মাথা উঁচু করে আকাশের দিকে চেয়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে আছে। সে যে কি দৃশ্য, তা আমি বর্ণনা করতে পারব ? না-শুধু বলতে পারি এ দৃশ্য পরম রমণীয়-এ দৃশ্য অপূর্ব! এমন । আর কখন দেখিনি। আমার সঙ্গী কবি নরেন্দ্র দেব এবং যুবক ললিতমোহন একেবারে তন্ময় হয়ে গেলেন ; তারা সুধু বলেন-কি সুন্দর । , আমি এইমাত্র বলতে পারি, যারা জব্বলপুরের এই মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখেন নাই, তঁদের একটা দেখবার মত জিনিস দেখা হয়নি। ভাষায় এ | পাহাড়ের সৌন্দৰ্য ব্যক্তি করা যায় না-কবির ভাষায় বলতে হয়— Gaze and wonder and adore. যিনি এই অতুল সৌন্দৰ্য্যের আধার মাৰ্ব্বল-পাহাড় দেখতে চান, আমি তাঁর সঙ্গী হয়ে দেখিয়ে আনতে পারি, কিন্তু সে দৃশ্যের বর্ণনা করা ܕܗܵܝ সাধ্যাতীত । সন্ধ্যার অন্ধকার যখন নেমে আসতে লাগল, তখন আমাদের তরী । ঘাটে এল-তার আগে কেবলই কবির এই কয় লাইন মনে আসছিল“চৌদিকে রাঙ্গা মেঘ করে খেলা, তরণী বেয়ে চল নাহি বেলা ।”