পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AfNicR II. SfGF Aigi Niffe (Electric Torch) তারই সাহায্যে আমরা বেশ ভালো করে ছবিগুলি দেখেছিলুম। র্যাদের সঙ্গে আলো থাকেন, তারা যদি দুটাকা খরচ করেন, তা’হলে অজন্তার প্রহরীরা দর্পণে সুৰ্য্যালোক প্রতিফলিত করে অন্ধকার গুহার মধ্যে ছবিগুলিকে আলোকে উজ্জল ক’রে তোলে। বৈদ্যুতিক আলোকে গুহা । আলোকিত ক’রে তুলবার ব্যবস্থা নিজাম সরকার ক’রে রেখেছেন ; কিন্তু, , সে একটু ব্যয়সাধ্য ; পনেরো টাকা জমা দিলে তবে কর্তৃপক্ষ অজন্তার } প্ৰত্যেক গুহাটি বিজলী দীপ্তিতে আলোকিত ক’রে দেবার ব্যবস্থা করেন। আমরা যেদিন অজন্তায় গিয়েছিলুম, সেদিন সৌভাগ্যক্রমে অজস্তার যিনি রূপ-রক্ষক বা শিল্প-ভাণ্ডারী ( Curator ) শ্ৰীযুক্ত সৈয়দ আহমেদ, একজন সন্ত্রান্ত মুসলমান মহিলা, একজন উচ্চবংশীয় মারহাট মহিলা ও একজন মুসলমান ভদ্রলোককে নিয়ে অজন্তা দেখাতে এসেছিলেন। মহিলাদ্বয় রূপসী, বিদুষী ও* তরুণী। মুসলমান মহিলাটি ‘পর্দানসীন’ একেবারেই নন ; মারহাট্টি মহিলাটির তো ও আপদ নেই-ই ; কাজেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে আমাদের কোনও বাধা হয়নি। সেই জন্য অজন্তা পরিদর্শনের সুযোগ পাওয়া গিয়েছিলো খুব ভাল । তারা অনর্গল ইংরাজীতে কথা বলছিলেন এবং হাস্য-পরিহাসে ও চিত্ৰসন্দর্শনজনিত উল্লাসময় কলরবে অজন্তার নিভৃত নিন্তব্ধ গুহারাজ্যকে যেন জীবন্ত ও মুখরিত করে তুলেছিলেন। তঁদের পরেই কয়েকজন ইংরাজ মহিলা এবং রাজ-কৰ্ম্মচারী এলেন। একজন ফরাসী পৰ্যটকের সঙ্গেও দেখা হ’ল। তিনি ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরাজীতে অজন্তা সম্বন্ধে অনেক কথা আমাদের জিজ্ঞাসা ক’রলেন এবং তার নিজের এ সম্বন্ধে মতামত । উচ্ছসিত হয়ে জানালেন। " সপরিবারে একজন মাদ্রাজী ভদ্রলোকও অজন্তার যাত্রী হয়েছিলেন