পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕਲਵ to 28 শেষ করে আমাদের জালগাও ফিরতে হবে-এখনও "ইলোরা” যাওয়া বাকী আছে! এতক্ষণ আমরা যেন সেই বিগত বৌদ্ধযুগের স্বপ্ন-রাজ্যের মধ্যে আত্মহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলুম ; মনে হচ্ছিল যেন সেই দুহাজার বছর আগে একদিন এখানে আমরা বাস ক’রে গেছি। এ যেন আমাদের কোন এক জন্মান্তরের পূর্ব-স্মৃতি-বিজড়িত আবাসভূমি! এক নম্বর গুহা থেকে বেরিয়ে আমরা দু’নম্বর গুহার মধ্যে প্ৰবেশ করবার সময় স্থির করলুম যে, আর এত পরিপূর্ণরূপে উপভোগ ক’রে দেখতে গেলে একদিনে ২৯টি গুহা দেখা চলবেনা, ২৯দিন লেগে যাবে। অতএব একটু দ্রুতবেগে দৰ্শন শেষ ক’রতে হবে। অজন্তা গুহাবলীতে যে “এক” “দুই” ক’রে ধারাবাহিক নম্বর দেওয়া আছে, সেগুলি পরের পর দেওয়া হয়েছে কেবল-মাত্র দর্শকের সুবিধার জন্য। শৈল-সোপান উত্তীর্ণ হয়ে পৰ্বতশিখরদেশে পৌঁছাবামাত্র থে গুহাটি প্রথম দর্শকদের সামনে পড়ে, সেইটিকেই এক নম্বর দিয়ে তার পরেরটিকে দুই-তার পরেরটিকে তিন—এমনি করে পাশাপাশি গুহাগুলির পরের পর নম্বর দেওয়া হয়েছে। যুগ-বিভাগ বা প্রাচীনত্বের হিসাব করে এই সংখ্যা-নিৰ্দেশ হয়নি। যেমন “অজন্তা” গুহার যেটিতে এক নম্বর পড়েছে-সেটি অজন্তার প্রথম গুহা নয়—সেটি বরং সর্বশেষ গুহা বলা যেতে পারে, কারণ তার নিৰ্ম্মাণ-কাল সপ্তম শতাব্দী ব’লে নিৰ্দ্ধারিত श्0शÇछ । বহুকাল এই অজন্তার ঐশ্বৰ্য্য অনাবিষ্কৃত পড়ে ছিল। কারণ, চারি দিক জঙ্গলময় পর্বতে বেষ্টিত এমন একটি নির্জন গুপ্তস্থানে এই প্ৰতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছিল যে, বাইরের লোকের পক্ষে সহজে এর সন্ধান পাওয়া সম্ভব ছিল না। বৌদ্ধযুগ ও বৌদ্ধ প্রভাব বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনশূন্য পরিত্যক্ত অজন্তা যেন অভিমান-ভরে লোক-লোচনের অন্তরালেই