পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ope অজন্তা অজ্ঞাতবাস ক’রছিল। মাত্র একশত বৎসর পূর্বে কৌতুহলী ইংরাজের আগ্রহ, উৎসাহ ও অনুসন্ধিৎসার ফলে অজন্তা আবার যেন নূতন ক’রে यांत्रिलूड श्'ग़छिल । ১৮১৯ খৃঃ অব্দে একদল ইংরাজ সৈনিকের ইন্ধ্যাদ্রি পর্বত অভিযানকালে সর্বপ্রথম অজন্তার অস্তিত্ব জানতে পারা যায় । ১৮২৯ খৃঃ আন্দে সার জেমস আলেকজাণ্ডার বিলাতের রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির মৃত্থাপত্রে অজন্ত গুহার বিবরণ ও চিত্রকলা সম্বন্ধে একটি ক্ষুদ্র প্রবন্ধ প্ৰকাশ করেন। পরে ১৮৩৬ খৃঃ অব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গলের মুখপত্রে অজন্তার আর একটি বিবরণ প্রকাশিত ত’য়েছিল। ১৮৩৯ খৃঃ অব্দে লোক্‌টেনাণ্ট ব্লেক ‘বোম্বে কুরিয়ার” পত্রে অজস্ব সঙ্গন্ধে একটি বিশদ বিবরণ প্ৰকাশ করেন। তার পর ১৮৪৩ খৃঃ অব্দে ফ} রগুসান সাহেব বিলাতের রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় অজস্তার বিশেষত্ব, চমৎকারিত্ন ও অসাধারণত্বের উল্লেখ করে তার একটি সম্পূর্ণ বিবরণ প্ৰকাশ করেছিলেন । এই রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির চেষ্টায় ও অনুরোধে ১৮৪৪ খৃঃ অব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী মেজর রবার্ট গিলকে । অজন্তার চিত্রাবলীর নকল তুলে আনবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অজন্তার যে চিত্রাবলী সংগ্রহ করেছিলেন, ১৮৬৬ সালের একটি প্ৰদৰ্শনীতে সেগুলি বিলাতে দেখানো হয় । কিন্তু দুভাগ্যবশতঃ আগুন লেগে প্ৰদৰ্শনীটি পুড়ে যাওয়ায় সেগুলি নষ্ট হয়ে যায় ; কেবল যে পাচখানি ছবি শেষে গিয়ে পড়ায় প্রদর্শনীতে পাঠান হয়নি, সেই পাঁচখানি রক্ষা পায় । এই পাঁচখানি ছবি সাউথ কেনসিংটন মিউজিয়মে ভারতীয় কলাবিভাগে এখনও সযত্নে রক্ষিত আছে । পরে ফারগুসান সাহেবের আগ্রহে ও চেষ্টায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বোম্বাই আর্ট স্কুলের যিনি প্রধান অধ্যক্ষ, মিঃ জর্জ গ্রিফিথসকে