পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যভাৱভ eval V অজন্তার চিত্রাবলীর পুনর্বার নকল নেবার জন্য পাঠানাে হয়েছিল। তিনি দশ বৎসর ধ’রে র্তার কয়েকজন ছাত্রের সাহায্যে কাৰ্য্য করে প্রায় ১৪৫ খানি ছবির নকল তুলেছিলেন। কিন্তু, আবার দৈবদুৰ্ব্বিপাকে আগুন লেগে তার প্রায় ৮৭ খানি ছবি পুড়ে গেছল। বাকী ৫৬ খানি এখন বিলাতের ভিক্টোরিয়া ও এ্যালবার্ট মিউজিয়মের ভারতীয় বিভাগে রক্ষিত হ’য়েছে, এবং দুখানি বোম্বাইয়ের আট স্কুলের তত্ত্বাবধানে আছে। এই কয়খানি ছবি নিয়েই ১৮৯৬ খৃঃ অব্দে গ্রিফিথস, সাহেবের অজন্তা সম্বন্ধে প্ৰসিদ্ধ বইখানি প্ৰকাশিত হ’য়েছিল । তার পর ১৯০৬ সাল থেকে ১৯১১ সালের মধ্যে লেভী হেরােঙ্গ হাম তিনবার বিলাত থেকে এসে ‘অজন্তা” দেখে গিয়েছিলেন ও ছবি একে নিয়ে গেছলেন। ১৯১৫ সালে তার বিখ্যাত বই ‘অজন্তা ফ্রেস্কোস প্ৰকাশিত হয়েছিল । ১৯১৪ সাল থেকে নিজাম সরকারের প্রত্নতত্ত্ব-রিভাগ অজন্তাগুহা রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্ৰহণ ক’রে ভারতের অতীত গৌরবের এই বিরাট নিদর্শনটিকে ধ্বংসের হাত থেকে সযত্নে বঁচিয়ে রাখবার চেষ্টা করেছেন। বহু অর্থব্যয় ক’রে তারা ইটালীর দু’জন সুদক্ষ প্রাচীর-চিত্র-রক্ষণাভিজ্ঞকে আনিয়ে অজন্তার ছবিগুলির আয়ু বৃদ্ধি করিয়েছেন। ১৯১৯২০ সালে বিশ্ববিশ্রুত ফরাসী পণ্ডিত ও প্ৰাচ্য তত্ত্ববিশারদ মুখে ফুশ্যেকে তঁরা প্রচুর পারিশ্রমিক দিয়ে দু' বৎসরের জন্য এখানে আনিয়েছিলেন। অজন্তার প্ৰত্যেক ছবির ব্যাখ্যা, তার শিল্প-পদ্ধতি ও ভাস্কর্য্যের বিশেষত্ব সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য তথ্য-সম্বলিত একটি বিশদ বিবরণ র্তারা শীঘ্রই প্ৰকাশ ক’রছেন। তাতে অজন্তার চিত্রগুলিও অবিকল যথাযথ রংএ মুদিত করে দেবারও ব্যবস্থা হ’য়েছে শুনলুম। অজন্তার সবচেয়ে পুরাতন গুহা ୧'cଷତ୍ୱ ରୋ୧ ଏg > oHR । ୯୩ দুটি আনু