পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्धान्न्द-नव्लन्डा صط কাজেই প্ৰপাতেরও তেমন জোর নেই, সামান্য একটু উপর থেকে ঝর ঝর রে জল পড়ছে। এই তিন মাইল হেঁটে আসার মজুরী পোষালো না। সেখান থেকে ফিরে যখন টঙ্গার কাছে এলাম, তখন রাত্রি সাড়ে টটা । মণিবাবু বারবার ক’রে বলে দিয়েছিলেন আটটার মধ্যে যেন ফরি। বড়ই বিলম্ব হয়ে গেল, উপায় নেই। মণিবাবুর বাড়ী যখন পৌছিলাম, তখন রাত্রি দশটা বেজে গেছে। আহারাদি শেষ করে গৃহস্বামীকে ধন্যবাদ দিয়ে প্ৰায় সাড়ে এগারটায় ধৰ্ম্মশালায় ফিরে এলাম । টঙ্গাওয়ালাকে বলে দেওয়া হোলো, সে যেন প্ৰাতঃকালে আটটার সময় আসে ; আমরা গোয়াড়ি-ঘাটে নৰ্ম্মদায় স্নান করতে যাব। গোয়াড়ি ঘাট দঙ্গর থেকে পাচ মাইল। এখানেই যাত্রীরা স্নান পূজা তৰ্পণাদি করে। রাত্রিটা বেশ কাটল। সকালে উঠে সন্ধান নিয়ে জানতে পারা গল যে, এখানে বারণ-কোম্পানীর বাঙ্গালী-বাবুদের একটা হোটেল আছে ; সেখানে মধ্যাহ্ব-আহারের ব্যবস্থা হতে পারে। যথাসময়ে গঙ্গাওয়ালা হাজির । আমরা কাপড় গামছা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। iাঙ্গাওয়ালাকে ব’লে দেওয়া হোলো, আগে যেন বারণ-কোম্পানীর [াঙ্গালী-বাবুদের বাসায় যায়। সেখানে আহারের ব্যবস্থা ঠিক করে স্নানে খাওয়া যাবে। টঙ্গাওয়ালা বারণ কোম্পানী পৰ্য্যন্ত বুঝেছিল । সে প্ৰায় তিন মাইলের উপর টঙ্গা চালিয়ে বারণ কোম্পানীর কারখানায় গিয়ে হাজির। জিজ্ঞাসা করে জানা গেল, বাঙ্গালী বাবুরা সেখানে থাকেন। না, সহরে ষ্টেসনের নিকট ধৰ্ম্মশালার কাছে তাদের বাসা, অর্থাৎ আমরা যে ধৰ্ম্মশালায় আছি, তারই নিকটে কোথাও তারা থাকেন। বোঝা গেল, বিধাতা বিগত রাত্রের অপ্রত্যাশিত নিমন্ত্রণের শোধ এ বেলা নেবেন । যাক, নৰ্ম্মদায় স্নান করে ত আগে পুণ্য সঞ্চয় করা যাক, তার পর বিধাতার সঙ্গে বোঝাপড় করা যাবে।