পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sassists >●ク নিদর্শন খুব অল্পই চোখে পড়ে। ৭নং গুহায় পাথরের বুকে পদ্মকলি ও প্রস্ফুট। শতদলের যে অনবদ্য লীলা বিকশিত হ’য়ে উঠেছে, মানস-সরোবরে ইন্দিরার চরণকমলও বুঝি তত সুন্দর নয়। ১৬নং গুহায় নাগ দম্পতীর প্ৰতিমূৰ্ত্তি ভাস্কৰ্য শিল্পের এক অপূৰ্ব্ব নিদর্শন। ১৯নং গুহাটি যেন কেবলমাত্ৰ ভাস্কৰ্য্য-কলার পরাকাষ্ঠা দেখাবার জন্যই সৃষ্টি করা হ’য়েছিল। এই গুহার চারিদিকেই ভাঙ্গরের করুধুত লৌহফলক দুৰ্ভেদ্য পাষাণকেও যেন অবলীলায় ইচ্ছামতো শিল্পীর কল্পনার রূপ দিয়েছে। ২৪নং গুহার বারান্দার ধারক বাহু ( Supporting Bracket ) রূপে যে আকাশ-বিষ্ঠা রিণীদের মূৰ্ত্তি আছে, তার সৌন্দৰ্য্যও অতুলনীয়। ২৬নং গুহাটিও ১৯নং গুহার মতই বিবিধ তক্ষণ-কলায় আপাদমস্তক মণ্ডিত। কিন্তু এ গুহার ভাস্কৰ্য-পদ্ধতি, ধরণ ধারণ ও ভঙ্গী ১৯নং গুহার সঙ্গে একেবারেই মেলে। না ! এটা চৈত্য-গুঙ্গা । এর অভ্যন্তরস্থ মূৰ্ত্তি ও কারুকাৰ্য্য সব যেন একটু বিরাট রকমের। “বুদ্ধের নির্বাণ’ ও ‘বুদ্ধের পরীক্ষা’-পাষণে খোদিত এই দুটা মূৰ্ত্তির শিল্প সৰ্ব্বাগ্রে দশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নিৰ্বাণপ্ৰাপ্ত বিশাল বুদ্ধ-মূৰ্ত্তিটি শায়িত অবস্থায় রয়েছে—গুহার বামদিকের সমস্ত দেওয়ালটি প্রায় জুড়ে ! কিন্তু কি সুন্দর পরিমাপ-জ্ঞান ছিল সেই দ্বি-সহস্ৰ বৎসর পূর্বের ভারতীয় শিল্পীদের—যে এই বিরাট প্রস্তুর-পর্বেও কোনোটিই কোথাও এতটুকু বেমানান ঠেকে না ! এই শায়িত বিশাল বুদ্ধ-মূৰ্ত্তির তলদেশে শ্ৰীভগবান বুদ্ধের অসংখ্য শিস্য-সেবক, ভিক্ষু, যতি, সন্ন্যাসী, গ্রামবাসী, রাজরাণী প্ৰভৃতি বিভিন্ন শ্রেণীর নর-নারীর এক ত্র অবস্থান এমন সুকৌশলে সন্নিবেশিত করা হ’য়েছে যে, এই ভাস্কার-শিল্পীর প্ৰতিভার উদ্দেশে সশ্রদ্ধ নমস্কার নিবেদন না ক’রে থাকা যায় না । স্থাপত্য-কলার দিক দিয়ে পূর্বোক্ত “চৈত্য-গুহা’ চারিটিই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ‘বিহার’ গুহার মধ্যে ১নং ২নং ৪নং ৬নং ৭নং