পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਭਵ5 ح \\ চৈত্য-গুহার মধ্যভাগের ছাদের অভ্যন্তর-দেশ অন্তঃবৰ্ত্তালাকার বা গম্বুজগর্ভের মত খিলান করা। কিন্তু স্তম্ভ বিভক্ত পার্শ্ব-চতুষ্টয়ের ছাদের অভ্যন্তরভাগ সমতল । সে সময় কারুকাৰ্য্য খচিত কাঠের কড়ি-বরগা ও জানালাদরজার প্রচলন ছিল, জানা যায়। ১০নং গুহাটি ৯নং গুহার অপেক্ষী আকারে বড়, কিন্তু গঠন-প্ৰণালী একই প্রকার ; কেবল স্তুপটি অন্য রকম। এ গুহার পার্শ্ব-চতুষ্টােরর সমতল ছাদে পাথরের কড়ি-বরগা, কিন্তু মধ্যভাগের খিলান করা ছাদে কাঠের কড়ি-বরগা, দেখে মনে হয়, কাঠের বদলে পাথরের ব্যবহার এই পান থেকে সুরু হ’য়েছে। ১৯নং ও ২৬নং চৈত্য७थ्ा-g টি আবার অন্য প্রকারের। श्रृहीाकृ 65 टा-९४) पू9ि ईोंनशानी নয়। ১৯নং গুষ্ঠাটি বিশেষজ্ঞদের মতে বৌদ্ধ শিল্প নৈপুণ্যের একেবারে বৌদ্ধদের এবং এ দু’টি গুচা মঠাধানী বৌদ্ধদের । এগুলি ঠিক চতুষ্কেরণ চরম নিদর্শন ! এই গুহার প্রবেশ-পথেও কারুকার্য খচিত স্তম্ভ যুক্ত একটি গাড়ী-বারান্দা আছে। সম্মুখভাগ এবং ভিতর ও বাঠির আগাগোড়াই সুচারু। কারুকাৰ্য্য-খোদিত। সমস্তই পাথর কেটে তৈরী, কাঠের সম্পর্ক নেই কোথাও । স্তম্ভগুলির ‘আসন’ চতুষ্কোণ, কিন্তু উৰ্দ্ধ ভাগ খানিকটা অষ্টকোণ, খানিকটা একেবারে গোল, খানিকটা বা স্কুপের মতো প্যাচ কাটা । স্তম্ভের গায়ে মধ্যে মধ্যে কারুকাৰ্য্য খচিত বন্ধনী পা বেষ্টনী আছে। শীর্ষদেশের ‘মুকুট” বুদ্ধমূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ করা এবং ‘ধারকবাহু” রূপে বিমানবিহারীদের আকৃতি পরিকল্পিত হ’য়েছে। মহাযান চৈত্য-গুহার অভ্যন্তরস্থ বৌদ্ধ স্তুপটি আকারে, গঠনে ও শিল্প-পারিপার্গে হীনযানীদের অপেক্ষা বহুগুণে শ্ৰেষ্ঠ বলা যেতে পারে। হীনযানী স্তুপে কোনও মূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ করা নেই ; কিন্তু মহাযানী স্তুপে আমরা দণ্ডায়মান ও উপবিষ্ট বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি ও কিন্নরগণের মূৰ্ত্তি খোদিত রয়েছে দেখতে পাই। মঙ্গাযানী স্তুপের আর একটা প্রধান বিশেষত্ব দেখলুম-চুলের উপর পরের ‘ব