পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলোৱা গোধূলির মান-রক্তিম ছায়া দিগন্ত-প্ৰান্তে ধীরে ধীরে যখন আসন্ন সন্ধ্যার আবির্ভাব সূচনা করছে, ঠিক সেই সময় আমরা জালগাওয়ে ফিরে এলুম। সকালে আমাদের স্নান হয়নি এবং খাওয়া-দাওয়াটাও তেমন যুতসই হয়নি ব’লে ষ্টেশনের বাথরূমে বেশ করে স্নান করে নিয়ে, আমি আর গোরক্ষপুরের বঙ্কিমবাবু বেরুলুম শহরের দিকে সান্ধ্য-ভোজের ব্যবস্থা করতে। জলধরদা’ আর দিবাকরবাৰু ষ্টেশনেই রইলেন। জালগাও শহরের মধ্যে যেটি সবচেয়ে ভালো দেশী হোটেল ( বিলিতি হোটেলের নামগন্ধও সেখানে নেই ) সেখানে গিয়ে কী সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, তার সন্ধান ক’রে দেখলুম-তৈরী যা আছে, তার মধ্যে মাংসের পোলাও ছাড়া আর কিছু আমাদের চলবেন ! হোটেলের মালিকাটিকে দেখতে গুণ্ড গোছের হ’লেও মানুষটি বেশ ভালো। তিনি ব’ললেন- আপনারা কি খেতে চান বলুন, আমি তৈরী করিয়ে দিচ্ছি। এক ঘণ্টার বেশী সময় লাগবেনা। আমাদের রাত্রি দশটার গাড়ীতে জালগাও থেকে মানমাদ যাবার কথা ; সেখান থেকে রাত্ৰি বারোটায় গাড়ী বদল করে আওরঙ্গাবাদ । পৌছবার কথা ভোর বেলা। আওরঙ্গাবাদ থেকে আমরা মোটর নিয়ে ‘ইলোরা গুহা’ দেখতে যাবো স্থির করেছিলুম। সুতরাং যথেষ্ট সময় । আছে দেখে, আমরা ওই মাংসের পোলাওর সঙ্গে চারজনের মতন কাৰ্বি, মটন কোম্মা, ডিমের মামলেট ও খান-কয়েক কোপ্ত তৈরী ক’রে দেবার |