পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

c\ed डेङ्ग्रेटब्न्ताझा অর্ডার দিয়ে এক ঘণ্টা সময় কি ভাবে কাটানো যায় ভাবতে ভাবতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লুম। খানিকদূর গিয়ে দেখি, সামনে এক ‘সিনেমা হাউস’ ! কি ফিল্ম আজ দেখানো হবে খবর নিয়ে দেখতে যাবার আর উৎসাহ হ’লোনা । তারও খানিকদূর এগিয়ে দেখি, পথের পাশের একটি মাঠে হাট বসেছে। ফল-মূল, তারি-তরকারী, চাল-দাল, কাপড় জমা থেকে আরম্ভ ক’রে খেলনা, পুতুল ও মনিহারী জিনিসের অসংখ্য দোকান বসে গেছে। গীতবাদ্য ও 12-তামাসাও দেপানো হ’চ্ছে । অনেকটা ‘মেলা’র মতো যেন ! ক্রেত ও বিক্রেতাদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশী এবং তাদের মধ্যে অনেকেই বেশ সুবেশ ও সুশ্ৰী ! মেলার মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে এক ঘণ্টা সময় সহজেই কাটিয়ে দেওয়া গেল। আমার সঙ্গী বঙ্কিমবাবু একটা সুন্দরী তরুণী পসারিণীর কাছ থেকে কিছু সওদা করবার প্রলোভন সংবরণ ক’রতে পারলেন না । অত্যন্ত অনাবশ্যক কিছু জিনিস তিনি কিনছেন দেখে আমি তাকে বন্ধুভাবে নিষেধ করলুম। কিন্তু, তিনি অামার নিষেধ শুনলেন না, বরং আমাকে নিতান্ত অরসিক ও অকবি ব’লে ভৎসনা করলেন । মেলার জিনিসপত্র প্রায় সমস্তই হয় জাৰ্ম্মণী নয় জাপানে প্ৰস্তুত সস্তার পেলোমাল। কাজেই কিছু কেনবার প্রবৃত্তি হয়নি আমার। আমি শুধু পোলাওর সঙ্গে ব্যবহার করবার সুবিধা হবে ব’লে— গুটি কয়েক নেবু। কিনে ফেললুম। এ নেবুগুলি না-পাতি না-কাগজী, দুইয়ের মাঝামাঝি এক-রকম । মেলায় ঘোরা শেষ ক’রে বেরিয়ে আসছি—হঠাৎ পথের ধারে একটি লীগাওয়ালী বেশ বড় বড় টকটকে লাল কঁচা লঙ্কা বিক্রয় করছে দেখা ‘ল ! বঙ্কিমবাবু কিছু কঁাচা লঙ্কা না কিনে মেলা থেকে বেরুতে পারলেন Ο Ο