পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و N تحت

বেলা আটটার মধ্যেই ইলোরা গুহার সম্মুখে এসে নােমলুম আমরা। এখানে মোটর প্রায় পাহাড়ের গুহার দ্বারা পৰ্য্যন্ত আসতে পারে, এমন ভাবে ঢালু রাস্তা তৈরী করা হ’য়েছে।

পথে আমরা দৌলতাবাদের পাৰ্দত্য-দুর্গটি দেখে আসতে ডুলিনি। আওরঙ্গাবাদ থেকে দৌলতাবাদ মাত্র ৮ মাইল দূরে । মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব যখন দাক্ষিণাত্যের শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন, তখন তিনি এই আওরঙ্গাবাদ শহরটি প্রতিষ্ঠিত ক’রেছিলেন এবং নিজের নামেই এর নামকরণ ক’রেছিলেন--আওরঙ্গাবাদ। আওরঙ্গাবাদ শহরটির সর্বাঙ্গে এখনও সেই প্রাচীন মোগল নগরীর বিশেষত্বের ছাপ সুস্পষ্ট লেগে রয়েছে দেখা গেল। এতকালেও যে এ শহরটির খুব বেশী কিছু পরিবর্তন হয়নি তা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। প্ৰাচীন মোগল শহর-সেই ডোম, মানার, মসজেদ, ত্রিকোণ খিলান, স্তন্ত-তোরণ, নহবৎখানা মুশাফেরমহল।--বেশ লাগিছিল তার মধ্যে দিয়ে যেতে। ছোট্ট শহর । শীঘ্রই আমরা নগর-প্রাকারের তোরণ-দ্বার পার হ’য়ে তার পার্বত্য উপকণ্ঠে এসে পড়লুম। অনেকদূর থেকেই দৌলতাবাদের পাৰ্বত্য-দুর্গের গগনস্পৰ্শী চুড়া দেখা যাচ্ছিল। আমরা দৌলতাবাদে পৌছে দেখলুম শহরটি ধ্বংস হয়ে গেছে। দাড়িয়ে আছে শুধু ওই দুর্ভেদ্য পাষাণ-কেল্লা! একটি উচু পাহাড়ের একেবারে চূড়ার উপর এই কেল্লাটি তৈরী হ’য়েছিল। পাহাড়টি সোজা উপরে উঠে গেছে বলে এটিতে চড়া একটু দুরারোহ ব্যাপার ব’লেই মনে হ’লো। ওঠবার চেষ্টাও কেউ করলুম না, কারণ আমাদের একান্ত সময়াভাব। নইলে, ইলোরা যাবার পথে এই আও কিছু দেখবার ছিল। আওরঙ্গাবাদ শহর থেকে তিন মাইল দূরে ক্ষে ।