পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৭৪

काeछड>ान्ट्राड> S68 . করে আবিষ্কার করেছে। নিজাম সরকার একে এখন তঁদের সযত্ন তত্ত্ব বধানে রেখেছেন । দাক্ষিণাত্যের দিগ্বিজয়ী সম্রাট দন্তী দূর্গ অষ্টম শতাব্দীতে এই কৈলাসমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়েছিলেন ব’লে ঐতিহাসিকেরা অনুমান করেন। এখানে পাশাপাশি বৌদ্ধ ও জৈন গুহাও আছে অনেকগুলি। সুতরাং ইলোরার প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে—এখানে বৌদ্ধ, ব্ৰাহ্মণ্য ও জৈন এই ত্ৰিবিধ শিল্প-ধারার ত্ৰিবেণী-সঙ্গম দেখতে পাওয়া যায়। পৰ্ব্বত-গাত্রে সারি সারি এই গুহাগুলি প্রায় কিঞ্চিদধিক এক মাইল স্থান জুড়ে আছে অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে। বৌদ্ধ গুহাগুলিই সবচেয়ে প্রাচীন ব'লে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা अभिङ দিয়েছেন। অজন্তা-গুহার সঙ্গে ইলোরার এই বৌদ্ধ গুহাগুলির এত বেণী সোসাদৃশ্য আছে যে, এ-গুলির আর নূতন করে বর্ণনা করা নিম্প্রয়োজন। বিশেষত্বের মধ্যে এখানে একটি ত্রিতল বৌদ্ধগুহা দেখা গেল, এবং চিত্র অপেক্ষা ভাস্কৰ্য্যর প্রাধান্যই এখানে বেশী ! ইলোরার এই পৰ্ব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে সারিসারি বৌদ্ধগুহা দেখতে পাওয়া যায় এবং উত্তরাংশে জৈন-মন্দির-শ্রেণী । এগুলি ‘ইন্দ্ৰসভা’ নামে খ্যাত । এই বৌদ্ধ ও জৈন গুষ্ঠাগুলির ঠিক মধ্যভাগে সারি-সারি প্রায় ১৫১৬টি ব্ৰাহ্মণ্য-গুহা। ব্ৰাহ্মণা স্থাপত্য ও শিল্প-কলার পরাকাষ্ঠী প্রদর্শনের জন্যই যেন এই বিরাট মন্দির কৈলাস সে-গুলির মধ্যে সগৰ্বে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। এটিকে কিন্তু আর গুহা বলা চলবেন। ব্ৰাহ্মণ্য-যুগের প্রভাবে প্ৰস্তুত এখানে প্রায় ১৫১৬টি গুহা আছে বটে, কিন্তু সেগুলি ঠু সমন্তই প্রায় বৌদ্ধ শুঙ্গার অনুকরণে নিষ্মিত! কেবলমাত্র এই কৈলাস ुभक्ति গুহার মধ্যে থেকেও গুহার অবগুণ্ঠন খুলে ফেলেছে এবং বৌদ্ধ প্রভাব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে ফেলতে পেরেছে! কৈলাসের মন্দিরে প্রবেশ করবার সময় আমরা বুঝতে পারিনি। কিন্তু,