পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sessess که ح উপরে দাড়িয়ে পাৰ্বতী। তার উভয় পাৰ্থে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু এবং দেব ও গন্ধৰ্ববৃন্দ। গৰ্ভ-মন্দিরের উত্তর দিকের প্রাচীর-গাত্রে হরপার্বতী অক্ষক্রীড়া ক’রছেন—উৎকীর্ণ ছিল; এখােন প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। দক্ষিণের প্রাচীর-গাত্রে শিবদুর্গ বৃষভারোহণে যাচ্ছেন। শিবের কোলে কুমার ; সঙ্গে প্রমথবুন্দ । i বিগ্ৰহ গৃহদ্বারে উভয় পাশ্বে দ্বারপালের পরিবর্তে মকর-পৃষ্ঠে গঙ্গা ও কুৰ্ম্ম পৃষ্ঠে যমুনা দাড়িয়ে! বৰ্তমানে উভয়েরই মুখ দুটি ভেঙ্গে গেছে। বিগ্ৰহ-গৃহ চতুর্দিকে ১৫ ফিট ক’রে দীর্ঘ একটি সাধারণ চতুষ্কোণ কক্ষ। ছত্রতলে একটি শুধু বড় গোপালের মতো শতদল ফুল। এর মধ্যে কী যে বিগ্রহ ছিল, শিবের মূৰ্ত্তি না লিঙ্গ, তা আজ জানিবার উপায় নেই, কারণ বিধৰ্ম্মীরা অনুগ্রহ ক’রে তাকে অনেক আগেই ধ্বংস করেছিলেন। অনুমানে লিঙ্গ ছিল ব'লে মনে হয়। কারণ এই কৈলাসকে কেউ কেউ দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম ব'লে উল্লেখ করে গেছেন। তা ছাড়া, রাঠোর রাজাদের সৌভাগ্যের যুগে মধ্যভারতে লিঙ্গায়েৎ ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের প্রভাবই খুব বেশী রকম চোখে পড়ে। দ্বিতলের উপর প্রধান মন্দিরের চারিদিক পরিক্রমণ করবার মতো ছাদ আছে। এই ছাদের ধারে ধারে ঘিরে আরও পাঁচটি ছোট ছোট মন্দির আছে। এই পঞ্চ ক্ষুদ্র মন্দিরে যে কোন পঞ্চ-দেবতা অধিষ্ঠিত ছিলেন, তা’ আর জানিবার উপায় নেই! মন্দির থেকে বেরিয়ে সেতুর উপর দিয়ে আমরা নদীপীঠে গেলুম। নদী-মণ্ডপের মধ্যে দেখি একটি ছোট্ট পাথরের বৃষ রয়েছে! বেশ বােঝা যায়, এটি অন্য কোনও স্থান থেকে সংগ্ৰহ ক’রে এনে এখানে রাখা হয়েছে। আসল বৃষটি স্থানচ্যুত হয়েছে। এটি একটি জাল-নন্দী! কৈলাসের মন্দির থেকে নেমে আমরা আবার প্রাঙ্গণে এসে পড়লুম। :