পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r BBSuDDB BDD DD DBDBD BD DO D KBBD DB SBDS ক’রে তিনি তঁর অনুপম ভাবনাকে এ হেন অপরূপ রূপ দিয়ে C5cgr প্রাঙ্গণের উত্তর দিকের বারান্দা ঘুরে আর একটি সোপান অতিক্রম ক’রে আমরা এবার যেখানে এসে পৌছলুম-এটিকে বলে লঙ্কা বা লঙ্কেশ্বর। এরও প্রবেশ-পথের সম্মুখেই কমলার মুষ্ট্রি রয়েছে দেখলুম। উপরের ঘরটি ১২৩ ফিট লম্বা ও ষাট ফিট চওড়া। এর ছাদ একটু নীচু। ২৭টি সুবৃহৎ স্তম্ভ এই লঙ্কার ছাত্র ধারণ ক'রে রয়েছে। প্ৰত্যেক স্তম্ভটি অতি সুন্দর কারুকাৰ্য্য-খচিত। দক্ষিণের স্তম্ভগুলি আবার একটি নীচু পাষাণ-বেষ্টনী দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই বেষ্টনীর ভিতর দিকটি। ভাস্কৰ্য্য-মণ্ডিত। দক্ষিণ পশ্চিম কোণে মহিষমদিনীর মূৰ্ত্তি ; তার পর অর্থনারীশ্বর। তৃতীয় ভৈরব বা বীরভদ্র, চতুর্থ হরপাৰ্ব্বতী, পঞ্চম শিবদুর্গা ও গণেশ। সব শেষে করোটা-কিরািট-শিরে রুদ্রের তাণ্ডব নৃত্য ! / লঙ্কার বিগ্ৰহ-গৃহ ও গর্ভ-মন্দির অনেকটা কৈলাসের প্রধান মন্দিরের অনুকরণেই তৈরী করা হয়েছে দেখা গেল। প্ৰদক্ষিণ-পথের দক্ষিণে রাবণের কৈলাস উৎপাটন ও উত্তরে শিবদুর্গার অক্ষাক্রীড়ার প্রতিকৃতি - উৎকীর্ণ করা রয়েছে। বিগ্ৰহ-গৃহের দ্বারপাশ্বে সেই গঙ্গা যমুনার মূৰ্ত্তি । । বিগ্ৰহ-গৃহের পশ্চাতের দেওয়ালে ত্ৰিমূৰ্ত্তি, শিব অর্থাৎ ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের এই তিন মুখ তার একই দেহে দেখানো হ’য়েছে। । কৈলাস-মন্দির-প্রাঙ্গণের চারিপাশ্বের পর্বত-বেষ্টনীর মধ্যে যে সুদীর্ঘ অলিন্দ-গুহা বা বারান্দা আছে, পূর্বেই বলেছি তার পশ্চাতে প্রাচীর গাত্রে অসংখ্য দেবদেবীর মুষ্টি উৎকীর্ণ করা আছে। পূর্ব প্রান্ত থেকে সুরু । করলে প্ৰথমেই আমরা দেখতে পাই সুৰ্য্য-গ্ৰহ বা অরুণ দেবতা । তার পরই বরাহ-অবতার। তার পরেই তাপসী উমা। এইবার একটি কক্ষ। কক্ষাভ্যন্তরে ব্ৰহ্মা ও বিষ্ণু, মধ্যে চতুভূজ শিব। শিবের সঙ্গেই ।