পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১৯৭

ইত্তেজনাবলী ܕܘܬܒܳ চিত্রে পরিশোভিত ছিল, তার নিদর্শন আজও লুপ্ত হয়নি একেবারে। ধ্বংসাবশেষ এখনও তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। ‘ইন্দ্ৰসভা’ ভাল ক’রে দেখা শেষ না ক’রেই আমাদের পালিয়ে আসতে হ’লো। ঘড়ীর কাটা ক্ৰমাগতই ছুঢ়ছিল একটার দিকে ! পাছে ট্ৰেণ মিস করি ব'লে। আর কালবিলম্ব না ক’রে মোটরে উঠে আমরা চাল্লিশগাওয়ের দিকে রওনা হলুম। ইলোরা থেকে চাল্লিশগা ওয়ে যাবার পাৰ্ব্বত্য-পথ যে এত সুন্দর, সে আমাদের ধারণাই ছিল না । এক পাশে উঠে গেছে গগনস্পর্শ পৰ্বতমালা, সুশ্যাম বনানী-বেষ্টিত ।--আর একদিকে নেমে গেছে একেবারে অতলম্পর্শী খাদ, কোন দূর শালবন ও স্বর্ণক্ষেত্রের মধ্যে ; সামনে অসীম আকাশ! পাহাড়ের পাশ দিয়ে দিয়ে সরু একটু পথ একে-বেঁকে উঠে নেমে ঘুরে ঘুরে চলেছে। সে-দিন সকালে আমাদের চোখে চারিপাশ্বের প্রাকৃতিক দৃশ্য এমন একটি স্বপ্নলোকের মায়া বিস্তার ক’রেছিল। সেখানে, যে, আমাদের মনে হ’চ্ছিল, যেন কোন অলকাপুরী পরিদর্শনে চ'লেছি আমরা ! প্ৰকৃতির এই ষড়ৈশ্বৰ্য্যশালিনী রূপ-এই পরিপূর্ণ সৌন্দৰ্য্য দেখে আর একবার এমনিই অপরিসীম আনন্দে মুগ্ধ ও বিহবল হ’য়ে পড়েছিলুম-সে শিলং থেকে চেরাপুঞ্জী যাবার পথে ! তিরিশ মাইল পথ মনে হয় যেন মেঘরাজ্য ভেদ ক’রে আকাশের বুকের ভিতর দিয়ে চলেছি। বৈজয়ন্তীর ; তোরণাভিমুখে ! কোথায় লাগে তার কাছে দাৰ্জিলিঙ, সিমলার । সৌন্দৰ্য্য! ইলোরা থেকে চাল্লিশগাওয়ে যাবার পথে যে আমাদের জন্য এত বড় । SBD BBD D BBD BBS DBDDuDBSDD BBDB BD DDBD করিনি। তাই, সেই আশাতীত কিছু পাওয়ার হর্ষ ও তৃপ্তি আমাদের সকলের ক্ষুধাতৃষ্ণু, ক্লাস্তি ও ভাবনা সব যেন ভুলিয়ে দিয়েছিল!