পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५ व्eवाडीन्झडत्र See হঠাৎ জানতে পারা গেল মোটর থেকে গোরক্ষপুরের দিবাকরবাবুর ‘বেডিংটা’ কেমন ক’রে কখন রাস্তায় প’ড়ে গেছে! গাড়ী খানিক-দূর পেছিয়ে নিয়ে এসে খোজা হ’লো-পাওয়া গেল না ! এদিকে আমাদের তখন আর একটা মিনিটও বিলম্ব করবার উপায় নেই। চাল্লিশগাওয়ে একটার ট্ৰেণ যেমন ক’রে হোক ধ’রতেই হবে, নইলে একটা দিন মারা যায়! একজন সাইক্লিষ্ট ছোকরাকে সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসতে দেখে তাকে ব’লে দেওয়া হ’লে যে, সে যেন খোজ ক’রে সেটি উদ্ধার করে। মোটর ড্রাইভারের সে চেনা লোক। মােটর ড্রাইভারকে ব’লে দেওয়া হ’লে চাল্লিশগাও থেকে ফেরবার সময় সে যেন সেই বেডিংটি উদ্ধার ক’রে আওরঙ্গাবাদ ষ্টেশনে দিয়ে আসে। আওরঙ্গাবাদের ষ্টেশন মাষ্টারকে পত্র লিখে দেওয়া হ’লে যে, তিনি যেন সেই বেডিং মোটর ড্রাইভারের কাছ থেকে নিয়ে-“মানমাদ” ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেন। দিবাকরবাবু বোম্বে থেকে ফেরবার পথে মানমাদ থেকে সেটি গাড়ীতে তুলে নেবেন। পথের দু’ধারের স্বৰ্গীয় দৃশ্যের পরম আনন্দে দিবাকরবাবুর্তার বেডিংয়ের কথা অচিরাং বিশ্বত হ’লেন। মিনিট দশ পনেরো মাত্র শুনেছিলুমতাই তো, নূতন আঙ্কোৱা কম্বল একখানা আছে। ওর মধ্যে। এই আসবার আগে নূতন মশারী তৈরী করিয়ে এনেছি। ! বিছানার চাদর এক ধোপ পড়েছে মাত্র । লেপখানা বেশী দিনের নয়-ইত্যাদি । তা ! পর কোথায়ই বা বিছানা—কোথায়ই বা চাদর-আর কোথায়ই ধা মশারী—সব মন থেকে ধুয়ে-মুছে গিয়ে একটা শুধু অনির্বচনীয় পুলকের পরম অনুভূতি আমাদের চিত্ত-ক’টি পূর্ণ ক’রে তুলেছিল! আমাদের মোটর যখন চাল্লিশগাঁও ষ্টেশনে এসে দাড়ালো-একটা বাজতে তখন আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকী ! খুশী হয়ে মোটরওয়ালাকে ।