পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- tsygsNs ܔܧܔ ত্ৰ্যম্বকেশ্বরের মন্দির-সন্নিকটে বিন্ধীগিরি থেকে পুণ্যতোয় গোদাবৰী भौद्ध ठ२१६ । আমরা বন্ধীগিরির উপর থেকে সূৰ্য্যাস্ত দেখবো ব’লে মোটরওয়ালাকে সুৰ্য্য থাকতে থাকতে ত্ৰ্যম্বকে নিয়ে গিয়ে পৌঁছে দিতে পারলে বখশীস দেবো বললুম। সেও প্ৰাণপণে মোটর ছুটিয়ে দিলে। ফাকা রাস্তা, দু’ধারে শুধু বিস্তৃত মাঠ। তাঁরবেগে মোটর ছুটলো সূৰ্য্যের নাগাল ধরবার জন্য । অস্তগমনোন্মুখ সূৰ্য্য তখন বিন্ধ্যগিরি-শিখর-পার্শ্ব হ’তে আমাদের রকম দেখে সম্ভবতঃ হাসছিলেন ! সূৰ্য্য আগে পালাবেন, কি আমরা গিয়ে তঁাকে ধ’রতে পারবো বিন্ধগিরির উপর-এই নিয়ে আমাদের মধ্যে ঘোর তর্কবিতর্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি হ’ল। সূর্যের গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের মোটর তখন ছুটছিল প্ৰচণ্ড বেগে ! কিন্তু, বিন্ধাপর্বতমলে আমাদের গাড়ী পৌছবার সঙ্গে সঙ্গেই মানবের স্পৰ্দ্ধাকে যেন উপহাস ক’রে স্বর্ণবর্ণ সূৰ্য অস্তাচলে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। সন্ধ্যার चैांक्षांद्र-ख्रश्नद्र প্ৰান্তটুকু মাত্র দেখা যাচ্ছে যখন দিগন্তের দিকে, সেই সময় আমরা তিনজনে তিনখানা ভুলি করে ৭৫০ সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের উপর উঠলুম গোদাবরীর উৎস দেখতে। দিবাকরবাবু ডুলি নিলেন না, হেঁটেই উঠে এলেন । . কিন্তু, গোদাবরীর উৎস দেখে আমরা অত্যন্ত হতাশ হলুম! এত কষ্ট ক’রে ছুটে আসা ও ডুলী করে পাহাড়ের উপর উঠা বৃথা ব’লে মনে হ’লো ; কারণ গোদাবরীর উৎস বলে যে স্থান আমাদের দেখানো হ’লো, সে একটি সম্পূর্ণ ফাকি মাত্র। নিছক যাত্রী-ঠকানো ছাড়া আর কিছুই নয়। মন্দিরের ভিতর পাহাড় থেকে ফোটা ফোটা জল পড়ছে! সেই যদি গোদাবরীর উৎস হয়, তা হ’লে গোদাবরীর একান্তই দুর্ভাগ্য বলতে হবে!