পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

easses S8 সবগুলি ঘরই ইটালীয়ান মাৰ্ব্বেল-মণ্ডিত, বহু কারুকাৰ্য্যশোভিত । দেখলে চক্ষু জুড়িয়ে যায়। নাচঘর, দরবার-ঘর, বৈঠকখানা, শয়নঘর, স্নানের ঘর, ক্ষৌরকার্য্যের ঘর, এ যে কত, তার সংখ্যা করা যায় না। অনেকগুলি ঘরে বহুমূল্য গালিচা বিছানো ; অনেক বহুমূল্য ভাল ভাল ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানো রয়েছে। সিংহদ্বার দেখে যে অভক্তি জন্মেছিলো, প্ৰাসাদের অভ্যন্তর-ভাগ দেখে মনে হলো রাজপ্ৰসাদ বটে ! বিলাতী ও দেশী আসবাবের সম্মেলনে প্ৰাসাদটী নয়ন-মনোহর হয়েছে। রাজ্য এখন পলিটিক্যাল এজেণ্টের শাসনাধীনে থাকলেও তিনি মন্ত্রিগণের সাহায্য নিয়ে রাজ্যশাসন করছেন ; এবং রাজপ্রাসাদ ও অন্যান্য প্ৰাসাদাবলী যথারীতি সুসজ্জিত রেখেছেন। এই প্ৰাসাদ থেকে যখন বেরুলাম, তখন চারটা বেজে গিয়েছে । এটি কিন্তু নূতন রাজ-গ্ৰাসাদ ; মহারাজ তুকাজী রাও-এর আমলে নিৰ্ম্মিত। এখান থেকে বেরিয়ে মহারাণী অহল্যাবাঈ এর স্মৃতিমণ্ডিত পুরাতন রাজপ্রাসাদ দেখলাম। সে প্রাসাদের আর পূৰ্ব্ব শ্ৰী নাই। ভেঙ্গে পড়ে নাই ; কিন্তু সাজসজ্জা তেমন নাই। তবুও তা দেখবার মতন। কারণ এই প্ৰাসাদ থেকেই মহারাণী অহল্যাবাঈ রাজ্যশাসন করেছিলেন ; এই প্ৰাসাদ হতেই তিনি যে অপূৰ্ব্ব শাসন-প্ৰতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন, অনন্য-সাধারণ মহত্ত্বের আদশ দেখিয়েছিলেন, ভারতের প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্ৰসমূহে যে অক্ষয়-কীৰ্ত্তি রেখে গিয়েছেন, কেদার বদরীনাথের যে রাজপথ নিৰ্ম্মাণ করে দিয়ে, লক্ষ লক্ষ ধৰ্ম্ম-পিপাসু হিন্দ নরনারীর তীর্থ-দর্শনের সুবিধা করে দিয়ে আজও শাত-কণ্ঠের আশীৰ্ব্বাদ লাভ করছেন, কাশীর অহল্যা ঘাট যার দানের সাক্ষ্য এখনও দিচ্ছে, সেই পুরাতন রাজপ্রাসাদের সম্মুখে নতজানু হয়ে প্ৰণাম করতে কার না