পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR2*Nres ". وصله مح আমাদের যা ভাল লেগেছিল,--আর ওখানকার কর্তৃপক্ষ নতুন যা” করেছিলেন,—তাই আমাদের সম্মিলনীর একটুখানি কথা । বাঙালী ওখানে খুবই কম, সম্ভবতঃ সব শুদ্ধ ৪০ জনের বেশী নেই। কিন্তু ঐ ক’টি ঘর বাঙালীতে এমন সুন্দর আতিথেয়তার বন্দোবস্তু করেছিলেন যা”। সত্যই আনন্দের। প্ৰতিনিধিদের থাকবার জায়গা হয়েছিল। শিবাজী রাও বিদ্যালয়ে। তার উঠোন, বাইরের মস্ত পোলা জায়গা, প্ৰকাণ্ড বাড়ী নিয়ে প্ৰতিনিধিদের স্বচ্ছন্দে থাকবার কোনোই ব্যাঘাত টেনি। আর ঐ-খানেই সম্মিলনীর অধিবেশনের স্থান হওয়াতে খাওয়া শোওয়ার সঙ্গে এমন সুবিধা হয়েছিল যে অনায়াসেই সব শাখায় সব সময়ে যোগ দেওয়া চলত। শিক্ষাবিভাগের অল্প কয়েকজন বাঙালী আর ঐ বিভাগেরই দুটা মাত্র বাঙালী মহিলা শ্ৰীমতী দাস ও শ্ৰীমতী হাজরা আর স্থানীয় জনকতক পরিবার মিলে যথেষ্ট আয়াস আর প্রীতির সঙ্গে সব ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে সন্মিলনীর আনন্দ উপভোগে কারুর অসুবিধা না হয়। অবশ্য সেই পরিমাণ কষ্ট তারা নিজেরা পেয়েছিলেন, কেননা, তঁদের বাড়ী যাওয়ার অবসর মিলত কি না সন্দেহ । নতুন ছিল ওখানে শিল্প-শাখার প্রদর্শনী । এটী অন্যত্র কোথাও আগে হয়নি; শুধু তার জন্যও নয়,-সন্মিলনীতে প্ৰাদেশিক অধিবাসীর সঙ্গে প্রবাসী বাঙালীর যে এক ভাষাভাষী না হওয়ার জন্য একটী দূরত্ব থাকে, এই সুত্রে সেটা নষ্ট হয়ে যেন একটী সাৰ্বজনীন ভাব সৃষ্টি করেছিল। এইটাই ছিল ইন্দোর কর্তৃপক্ষের বিশিষ্টত । ওখানকার প্রধান মন্ত্রী মহাশয়ের এর পৃষ্ঠপোষকরূপে উদ্বোধন করবার কথা ছিল ; তিনি অসুস্থ বলে আসতে না পারায় সম্মিলনীর সভাপতি মাননীয় শ্ৰীযুক্ত লালগোপাল মুখোপাধ্যায় মহাশয় তার উদ্বোধন করেন। আর তঁর অভিভাষণটি পড়া হয়। এই শিল্প-চিত্র, প্ৰদৰ্শনীতে ওখানকার গণ্যমান্য অনেকেই জড় J)