পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»S ইন্দোলেৱ ইভিহাস । দু-দশজন সম্বন্ধে এমন গল্প শুনতে পাওয়া যায় ; মলহরের মত তারাও । রাখাল থেকে ভূপাল হয়েছিল। অন্য রাখালদের মুখে এই আশ্চৰ্য্য ঘটনা শুনে নারায়ণজী। এই ব্যাপারের কোন কারণ নির্দেশ করতে না পেরে গ্রামের যিনি দৈবজ্ঞ, তঁর কাছে গেলেন। দৈবজ্ঞ মহাশয় অনেক গণনা করে এবং বালক মলহরের কারকোষ্ঠী দেখে ভবিষ্যদবাণী করলেন যে, এই ছেলে সামান্য নয়, এর ললাটে রাজযোগ লেখা আছে ; মলহর দেশের রাজা হবে। নারায়ণজী কথাটা অবিশ্বাস করতে পারলেন না ; ; শিবাজী মহারাজাও ত সামান্য অবস্থা থেকেই এত বড় হয়েছিলেন । তিনি তখন মলহরকে রাখালী থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটু লেখাপড়া শিখতে লাগিয়ে দিলেন। এদিকে মলহরের মনেও বিশ্বাস জন্মিল যে, সে বড়মানুষ হবে, প্ৰতিষ্ঠাভাজন হবে । তোলোও তাই। আঠারো বৎসর বয়সে মলহর রাও মা তুলের অশ্বারোহী সৈন্যদলে প্ৰবিষ্ট হলেন। তঁর মনে তখন উচ্চ আশা বলবতী । তঁর যোগ্যতা দেখাবার সুযোগও অবিলম্বে উপস্থিত হোলো। একটা যুদ্ধে তিনি নিজাম-উল-মুলুকের একজন যুদ্ধবিশারদ সেনাপতিকে নিহত করায় তঁর নাম চারিদিকে : বেজে উঠল। তখন তঁর মাতুল নারায়ণজী। পরম সমাদরে ਚੈਕ কন্যাদান করলেন। মারাঠাদের মধ্যে মাতুল-কন্যাকে বিবাহ করা অশাস্ত্রীয় নয়। মলহরের বীরত্বের কথা মারাঠা সমাজের নেতা ও অবিসম্বাদি অধিনায়ক পেশোয়া বাজারাওয়ের কর্ণগোচর হোলো। তিনি মলহরকে নিজের সৈন্যদলে পাঁচশত সৈন্যের অধিনায়ক করে দিলেন। মাতুলের আশ্রয়ে প্রতিপালিত, মেষপালক, শৈশবে পিতৃহীন দরিদ্র বালক এখন | মহাসম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হলেন। তখন তিনি আর মলহর রাও ।