পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা মানুষের মত মানুষ ছিলেন। অতি সামান্য অবস্থা থেকে একটা রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করতে হলে এবং তাকে মহারাষ্ট্র চক্রের মধ্যে একটা বিশিষ্ট স্থানে উপনীত করতে হ’লে যা যা দরকার, মলহর রাও সে সবই করেছেন ; যুদ্ধবিগ্রহ করেছেন, দরকার হ’লে কূটনীতির আশ্ৰয়ও গ্ৰহণ করেছেন ; অত্যাচারও যে করেন নাই, এ কথাও বলা যায় না । আবার এদিকে প্ৰজা পালন, শাসন ও সংরক্ষণে র্তাহার খ্যাতিও অসী। ছিল, দয়া দাক্ষিণ্যও তাহার অসীম ছিল। তঁর সমগ্র জীবন-কাহিনী যারা জানতে চান, তঁদের কৌতুহল চরিতার্থের জন্য আমরা সার জন্ম ম্যালকম লিখিত মধ্যভারতের ইতিহাসের উপর বরাত দিয়ে এ কাহিনী এখানেই শেষ করলাম। , মলহর রাওয়ের কথা বলা শেষ করলাম বলা ঠিক হোলো না ; কারণ, যে মহীয়সী প্ৰাতঃস্মৰণীয়া মহিলার, রাজেন্দ্রাণীর পবিত্র জীবন বৃত্তান্ত বলতে হবে, তিনি মহারাজ মলহর রাও হোলকারেরই পুত্রবধূ। কেমন করে এক দরিদ্র পল্লী থেকে একটী দরিদ্র পিতার কন্যাকে কোলে করে এনে মলহর রাও র্তার পুত্রবধু পদে বরণ করে ইন্দোরের সিংহাসনে বসিয়ে গিয়েছিলেন, তা যে মলহর রাওয়ের রাজ্যলাভ অপেক্ষাও অধিকতর ঐশ্বৰ্য্য লাভ, সে কথা তিনিও অস্বীকার করেন নাই ; যে কেহ সে অপূৰ্ব কাহিনী পাঠ করবেন, তিনিও অস্বীকার করতে পারবেন না। ;-সকলকে একবাক্যে বলতে হবে, মহারাজ মলহর রাও মানুষ চিনতে অদ্বিতীয় ছিলেন। এখন যাহার অসামান্য জীবন-কাহিনী লিখে লেখনী পবিত্র করব তিনি ইন্দোরের দেবী-স্বরূপিণী রাণী অহল্যাবাঈ-মহারাজ মলহর রাও হোলকারের-পথে কুড়িয়ে পাওয়া অমূল্য রত্ন! মলহর রাও কোন স্থানে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে