পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যভাৱভ BN পরম সমাদরে, অতুল জয়োল্লাসের মধ্যে আসন গ্ৰহণ করলেন ; শুভদিনে শুভ-বিবাহ সুসম্পন্ন হয়ে গেল। মাস কয়েক যেতে না যেতেই রাজা দেখতে পেলেন, তার পুত্রবধূ। অহল্যা অসামান্য গুণবতী কে বলবে সে দরিদ্রের ঘরে জন্মেছিল ? রাজ-অন্তঃপুরে এসে তার মনে কোন প্রকার গর্বের উদয় হোলো না ; এ সব ঐশ্বৰ্য্য তাকে একটুও প্রলুব্ধ করতে পারল না,-এ সব যেন তার জানা চেনা। তার ব্যবহার দেখে সকলেই আশ্চৰ্য্য হয়ে গেল। শ্বশুর। শাশুড়ীর সেবা, স্বামীর পরিচর্য্যা, পুৱবাসীদিগের তত্ত্বাবধান—এ সব যেন তার পূর্বেই শেখা হয়েছিল। তার পর দুই দশ দিন যেতে না। যেতেই অহল্যা তার শ্বশুরের দক্ষিণ হস্ত হয়ে পড়ল ;-কি রাজকাৰ্য্য, কি। যুদ্ধবিগ্ৰহ, কি সাংসারিক কাৰ্য্য, সমস্ত বিষয়েই অমনি অতুল প্ৰতিভাশালী, বীরত্বে মহনীয় রাজা মলহর রাও স্বীকার করতে বাধ্য হলেন যে, অহল্যাক্স ন্যায় রমণী তিনি কখন দেখেন নাই। তাই তিনি সকল ব্যাপারে, সকল কাৰ্য্যে অহল্যার পরামর্শ প্রার্থী হলেন ; অহল্যাও শ্বশুরের সমস্ত ভার মাথায় তুলে নিলেন। বিধাতার বিধান কে খণ্ডন করবে ? অবিমিশ্ৰ সুখ বুঝি কাহারও ভাগ্যে হয় না। কেন হয় না, তা জানিনে। কিন্তু যখন দেখি, যারা জীবনে কোন গহিত কাজ করে নাই ; ধৰ্ম্মাচরণ, জনসেবা, দরিদ্রের দুঃখ মোচনই যাদের জীবনের কার্য্য ; অকস্মাৎ তাদের মাথায় বাজ পড়ে, তাদের আনন্দের হাট ভেঙ্গে যায়, তাদের সুখের উৎস৷ শুকিয়ে যায়! বিশ্ববিধাতার এ কি বিধান, তিনিই জানেন। আমরা দেখে শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাই, মোহােবশে ব’লে বসি, এ বিশ্ব-বিধানে দয়া নেই-দয়া নেই। কিন্তু তখনই কে যেন অলক্ষ্যে থেকে ব’লে বসেন, ওরে মূঢ়, ভুলিসনে তিনি দয়াময়— डिनि जम्नाभग्न !