পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ee ভজজাজিনী ইন্দোরের সেই হিহি-কার শীতের মধ্যে, যার যা গরম কাপড় ছিল, সব গায়ে জড়িয়ে, কম্বল কঁধে ফেলে উজ্জয়িনী যাত্রা করা গেল। এবার আমাদের দলে অনেক লোক। নামগুলো এখানেই বলি। ছেলেমানুষ হােলেও প্রথমে নাম করতে হবে শ্ৰীমান আনন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ; কারণ, উজ্জয়িনীতে গিয়ে যার গৃহে আতিথ্য গ্ৰহণ করতে হবে এবং যিনি উজ্জয়িনী-প্রবাসী একমাত্র বাঙ্গালী, সেই পরম শ্রদ্ধাভাজন শ্ৰীযুক্ত হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের পুত্র এই আনন্দমোহন। হরিদাস বাবু সম্মেলন উপলক্ষে একদিনের জন্য ইন্দোরে এসেছিলেন ; ফিরে যাবার সময় তঁর এই পুত্রটিকে রেখে গিয়েছেন আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবার জন্য । ছেলেটকে রেখে গিয়েও তঁর কৰ্ত্তব্য শেষ হয়নি মনে করে তঁর স্কুলের তিনটী বাঙ্গালী শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত প্ৰভাতভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত রমণীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্ৰীযুক্ত উমেশচন্দ্র দত্তকে সম্মেলনের শেষ দিনে আমাদের নিয়ে যাবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এই ত উজ্জয়িনীরই চারি মূৰ্ত্তি আমাদের সঙ্গী। তার পর সঙ্গী হলেন নাগপুরের ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ দাস, দেরাদুনের শ্ৰীযুক্ত সত্যভূষণ রায়, হাজারীবাগ কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, গোরখপুরের শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্ৰীযুক্ত দিবাকর মুখোপাধ্যায় ; এ ছাড়া শ্ৰীমান নরেন্দ্র ও আমি ত আছিই; সুতরাং বলতে গেলে আমাদের একটা রেজিমেণ্ট । রাত দুইটার সময় গাড়ীতে উঠা গেল ;-যিনি যে গাড়ীতে স্থান পেলেন, তিনি সেখানেই উঠে পড়লেন। ঘণ্টা দেড়েক পরেই শীতে কঁাপিতে । কঁাপিতে ফতেহাবাদ ষ্টেসনে গাড়ী বদল করে “ফতেহাবাদ-চন্দ্রাবতীগঞ্জ” মিটার গেজ গাড়ীতে ওঠা গেল। ভোর পাঁচটা সাঁইত্রিশ মিনিটে উজ্জয়িনী-তখনও আধার কাটে নাই । এই সেই উজ্জয়িনী ! ছেলেবেলায় পিসিমার কোলের কাছে শুয়ে যে