পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਦੋਭੋਫਕੇ ۹وی অব্দ পৰ্যন্ত উজ্জয়িনী মালোয়ার সুলতানগণের অধিকারভুক্ত থাকে। তখন এখানে রাজধানী বা প্ৰতিনিধিগণের অবস্থান না থাকায় ইতিহাসে এ ४८न्द्र नाभ दिार्श्वस् ख्itद छेल्लिशिङ श्श नाच्ने । ১৫৪২ অব্দে শেরশাহ মালোয় জয় করেন এবং উজ্জয়িনীও সেই সঙ্গে তাহার দখলে আসে এবং সুরি সুলতান এই রাজ্য শাসন করেন। সুরি সুলতানের মৃত্যুর পর তার পুত্ৰ সুবিখ্যাত বাজ বাহাদুর এই রাজ্য অধিকার করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন; কিন্তু অল্প দিন পরেই বাজ বাহাদুর ১৫৬২ অব্দে সম্রাট আকবর কর্তৃক পরাজিত হন এবং এই রাজ্য উজ্জয়িনী সরকার নামে মোগল রাজ্যভুক্ত হয়। ১৭৩৩ অব্দে সম্রাট মহম্মদ শার সময়ে জয়পুরের মহারাজা সন্নাজি রাও জয়সিং মালোয়ার শাসনকৰ্ত্ত হন। অবশেষে ১৭৪৫ অব্দে বাজীরাও পেশোয়া উজ্জয়িনীর শাসনকৰ্ত্ত হন এবং তার পর ১৭৫০ অব্দের সমকালে এই রাজ্য সিন্ধিয়ার রাজ্যভুক্ত হইয়াছে। উজ্জয়িনীর ইতিহাস অতি সংক্ষেপে বলা গেল । তা থেকে এখনকার উজ্জয়িনীর কোন ধারণাই হবার ঘো নেই। তবুও কালের সঙ্গে অবিরাম স্কুদ্ধ ক’রে উজ্জয়িনী বা তার বুকে আঁকড়ে ধ'রে প’ড়ে আছে, তা দেখুবার | মত, তার পবিত্রতা উপভোগ করবার মত, তার ভগ্নস্তু পারণ্যের সম্মুখে নতজানু হয়ে সেই সুদূর অতীতের স্মৃতিকে পূজা করবার মত,--আর সেই প্ৰসন্ন সলিলা শিপ্রার স্ফটিক শুভ্ৰ জলে অবগাহন করে হৃদয় মন নিৰ্ম্মল করবার মত। তাই আমরা উজ্জয়িনীতে ২৯শে ডিসেম্বর সারাদিন থেকে কি কি দেখে এসেছি, তারই একটা ছোটখাটো বিবরণ দিচ্ছি। আমরা যে প্ৰকাণ্ড একটা দল বেঁধে উজ্জিয়িনী দেখতে গিয়েছিলাম, এবং সেই উপলক্ষে উজ্জয়িনীর একমাত্র প্রবাসী বাঙ্গালী, ও-অঞ্চলের সৰ্ব্বজনমান্য “মাষ্টারজি’ শ্ৰীযুক্ত হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের উপর চড়াও ক’রে যে অত্যাচার ক’রে এসেছিলাম, তা ভুলবাের নয় ।