পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TONSSISSINS ORA ও গঙ্গামন্দির আছে। একটি ধৰ্ম্মশালা আছে, তাতেই এখানকার যাত্রীদের আশ্রয় মেলে। এই ধৰ্ম্মশালা সরদার কিবেন প্ৰস্তুত করান। গঙ্গা-দশমীতে এখানে একটী উৎসব হয়। মন্দির দেখা হলে পুরোহিতকে কিছু দেওয়া গেল। পুরোহিত তখন চন্দন ঘট্‌ছিলেন। আমি বললাম “ঠাকুর, ঐ চন্দনকাঠটুকু আমায় দেবেন, আমি বাড়ী নিয়ে যাব।” পুরোহিত তখনই সেই কাঠখানি আমাকে দিলেন। হরিদাসবাদ বললেন এবং আমরা ও মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে দেখলাম, চারিদিকে অসংখ্য চন্দন গাছ রয়েছে। এই মন্দিরের কাছেই আর একটা পুরাতন মন্দিব দেখলাম। মন্দিরের পাণ্ডারা বললেন, এটা সান্দীপনি মুনির আশ্রম। এইখানে কৃষ্ণ বলরাম মুনির পাঠশালায় শিক্ষা লাভ করেছিলেন। মুনিবারের মূৰ্ত্তিব্বও পূজা হয়, কৃষ্ণ বলরাম ও পূজা পেয়ে থাকেন। আমার কিন্তু এ কাহিনী বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে চোলো না । এই মন্দিরে যাবার সময় একটি সুন্দর দৃশ্য আমাদের চোখে পড়ে নি। বেরিয়ে যখন টঙ্গায় উঠতে যাবো, তখন, ডান-দিকে একেবারে শিপ্রার উপরে একটী অতি পুরাতন বটের গাছ দেখলাম ; তার চারি দিক পাথর দিয়ে বাধান। আর পাশেই শিপ্রা নদী পৰ্যন্ত সিড়ি নেমে গিয়েছে। আমি বললাম, কালিদাসের আবাস-স্থান কোথায় ছিল, তা যখন কেহই এই স্তুপারণ্যের ভিতর থেকে বার করতে পারেন নি, আমি কিন্তু তার মেঘদূত লেখার ঠিক জায়গা আবিষ্কার করেছি। আমি বলছি, এই সুন্দর বটবৃক্ষের ছায়ায় বসে মহাকবি কালিদাস র্তার মেঘদূত লিখেছিলেন। শ্ৰীমান নরেন্দ্র মেঘদূত নিয়ে বড়ই নাড়াচাড়া করছেন ; তিনি বললেন, দাদা ভুলে যাচ্ছেন কালিদাস সৌখীন পুরুষ ছিলেন, এ জায়গায়