পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলাম। ‘কুপে” মাত্র দুইজনের স্থান থাকে, আমরাও দুইজন ; সুতরাং সে কামরাটী আমাদেরই সম্পূর্ণ দখলে হোলো। এ সুবিধার জন্য আমরা রিদাস বাবুর কাছে ঋণী। আর, শ্ৰীমান সুধাংশু ভায়ার কাছে একটি উপদেশের জন্য এইখানেই ঋণ স্বীকার করে রাখি। আমরা স্থির কয়ে ছিলাম, একটানা একেবারে ইন্দোরে যাব ; ওদিকের সব দেখাশুনা c করে ফিরবার সময় জব্বলপুরে নেমে মাৰ্বল পাহাড় ও নিৰ্ম্মাদ-প্ৰপাত দেখে আসব। শ্ৰীমান সুধাংশুশেখর বলেছিলেন ‘দাদা, সে কিছুতেই হয়ে উঠবে। না। অত ঘুরে আসতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন ; আর জব্বলপুরে নাম সম্ভবপর হবে না, মাৰ্ব্বল-পাহাড়ও দেখা হবে না। তার চাইতে যাওয়া সময়ই ওটা সেরে যান।” আমাদের হাতেও সময় ছিল ; ২৪শে ইন্দোদে পৌঁছিবার কথা ছিল ; ২৫শে পৌছিলেও কাজের কোন ক্ষতি হবে না তাই, আমরা যাবার সময়ই জব্বলপুর নেমেছিলাম। শ্ৰীমান সুধা উপদেশ গ্ৰহণ না করে যদি চলে যেতাম, তা হলে সত্যসত্যই ফেরবার সময় জব্বলপুর কেন স্বৰ্গপুরে যেতে বললেও আমরা সম্মত হাতুম নাতখন ক্লান্ত দেহে, প্ৰায় শূন্য-পকেটে বাড়ীমুখে বাঙ্গালী ! বৰ্দ্ধমান ষ্টেসনে না পৌঁছান পৰ্যন্ত আমরা শয়ন করলাম না ; বৰ্দ্ধমান থেকে পরদিন প্ৰাতঃকালের চা-যোগের সঙ্গে সঙ্গে কিঞ্চিৎ মিষ্টান্ন যোগ করবার জন্য বৰ্দ্ধমানে কিছু মিহিদানা সংগ্ৰহ করার অভিপ্ৰায় ছিল বৰ্দ্ধমান থেকে গাড়ী ছাড়লেই শয়ন ও নিদ্ৰা । ভোর পাঁচটায় মোগল সরাইয়ে একবার একটু মাথা তুলেছিলাম মাত্র, তারপর পুনরায় নিদ্রা এ নিদ্ৰাভঙ্গ হােলো চেউকিতে গিয়ে। হাতমুখ ধুয়ে চা ও মিষ্টান্নযোগ করা গেল। নরেন্দ্ৰ ভায়া পুনরায় শয়ন করলেন। এখান থেকে জি, আই-পি রেলপথ আরম্ভ হোলো, শেষ হবে বোম্বাই গিয়ে সাটুনা ষ্টেসনেই আমরা জব্বলপুর নামবার জন্য প্ৰস্তুত হলাম ।