পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕਭਵਲ ܓ݁ܶܗܝ সুকৃতি ও সাধন-বলে অতুল যোগৈশ্বৰ্য্যের অধিকারী হয়েছিলেন। কাহিনী এমন না হ’লে লাগ-সই হয় না। রাজা ভর্তুষ্করি সম্বন্ধে এমন কাহিনী অনেক আছে ; সে সব ব’লে কাজ নেই ; এই দুইটাই যথেষ্ট । এই ভর্তুগরি গুষ্ঠার মধ্যে বাতি জ্বালিয়ে যা কিছু দেখবার, সে সকল দেখে আমরা যখন বাইরে এলাম, তখন বারটা বাজতে বিলম্ব নেই। কিন্তু, এতদূর এসে কালিকা মূৰ্ত্তি না দেখে যাই কেমন করে ? কাজেই চল, মা জয় কালী বলে! কিছুক্ষণ পরেই কালিকাদেবীর মন্দিরের নিকট টঙ্গা উপস্থিত। মহাকালাই এখানে কালিকা দেবী নামে খ্যাত। র্তার মন্দির উজ্জয়িনী সহর থেকে এক মাইল দূরে গড়পারে অবস্থিত। কালিকা মন্দিরের সম্পূর্ণ অংশই পাথরে তৈরী ও বহু প্ৰাচীন। মন্দিরটি দর্শনযোগ্য। এর চতুষ্পার্শ্বের দৃশ্যাবলী দেখলে মনে হয় যেন দেবী জাগ্ৰত অবস্থায় এখানে সব সময় অবস্থান করে দেশকাল সুপবিত্র করছেন। কোন সময়ে এখানে কি উপলক্ষে কে এই দেবী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে সম্বন্ধে বহু মতভেদ আছে এবং সে সব সম্ভব অসম্ভব নানা কথা থেকে কিছুই ঠিক করা যায় না। তবে লিঙ্গ-পুরাণে এই দেবীর উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ উল্লেখ আছে :- শ্ৰী রামচন্দ্র রাবণ-বন্ধের পর বিশ্রাম গ্ৰহণ করবার জন্য কিছুদিন উজ্জয়িনীর হারসিদ্ধির পশ্চিমে অবস্থান করেন । কাজেই রামভক্ত মারুতি রুদ্রসাগরে তার শয়নের স্থান ঠিক করে তঁর বিরাট দেহ বিস্তার করে সুখ-নিদ্রায় দিন কাটাতে লাগলেন। এই সময় কালা ক্ষুধায় কাতৰ । হয়ে তার আহাৰ্য্য দ্রব্যের অনুসন্ধানে এসে ভুল করে মারুতিকে দেখা দিয়ে ফেলতেই হনুমান আপনি বদন ব্যাদান করে অপরূপ রুদ্রমূৰ্ত্তি দেখাতেই দুৰ্জ্জনকে ত্যাগ করাই উচিত বিবেচনায় কালিকা দেবী সে স্থান ত্যাগ করে দ্রুতবেগে যেতে লাগলেন । খানিকটা দর যাবার পর।