পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

本egsa寸 tre এই কালিকা মন্দিরের নিকট র্তার অঙ্গভূষা স্থানভ্রষ্ট হয়ে প’ড়ে এক কালিকা মূৰ্ত্তি ধারণ করেন। এই মূৰ্ত্তিই কালিকা দেবী নামে সেই যুগ হতে অভিহিত হয়ে আসছেন। এখানে বলিদান প্ৰথা প্ৰচলিত আছে। এই মন্দিরের সম্মুখে সুগভীর এক তড়াগ আছে। এমন বিশাল জলাশয় উজ্জয়িনী সহরে আর দেখা যায় না। এর পাশ্বেই বলিদানের স্থান । তার পাশের সিঁড়ি দিয়ে ভিতরে গেলেই দেখা যায় যে, ছয় হাত চওড়া ও পয়ত্ৰিশ হাত লম্বা দালান দুই দিকে আছে। এর সম্মুখ দিয়ে গেলেই দেবী স্থান বা বেদীতে দেবীকে দেখা যায়। ভিতরে কালিকা দেবীর মূৰ্ত্তি ও চামুণ্ডা দেবী ও নব্য গিরীশ দেবতা আছেন। কালিকা মন্দিরের সম্মুখে এক নিম্ববৃক্ষের নীচে বিন্দুবাসিনীর এক স্থান আছে। মন্দিরের পশ্চাতে বাহিরের দিকে স্থির বিনায়কের একটি মন্দির আছে। এই মন্দির শ্ৰীমন্ত সরদার তৈরি করেন। এখানেও চৌরাণী মহাদেবের এক মহাদেব সিংহেশ্বর নামে অবস্থান করছেন। এরই পশ্চাতে মারুতির মন্দিরে যাবার পথ। এই পথটির মধ্যে মধ্যে সীতাফলের বৃক্ষে কুঞ্জ গঠিত হয়ে আছে। পথের পার্শ্বে একটি কুয়া আছে। সীতাফলের কুঞ্জ পথের পাশ্বে এমন সুসজ্জিত যে, দেখলে মনে হয় যেন কোনও রমণীয় উদ্যান-বাড়ীর মধ্যে এসে পড়েছি। মহাকবি কালিদাস এই কালিকা মন্দিরে সাধনা করেই বিদ্যালাভ করে সিদ্ধি পেয়েছিলেন ব’লে প্ৰসিদ্ধি আছে। নব রাত্রির সময়ে এখানে এক বিরাট মেলা বসে ও বৈশাখী অষ্টমী পর্যন্ত সে মেলা থাকে। কালিকা দেবীর মন্দির থেকে বেরিয়ে শিপ্রার ঘাটে এসে যখন বসা গেল, তখন বেলা একটা বেজে গিয়েছে। যদি দুইটার ট্ৰেণেই ইন্দোর ফিরে যেতে হয়, তা হলে হরিদাস বাবুর বাড়ী গিয়ে স্নান-আহারের আশা ত্যাগ করতে হয় । হরিদাস বাবু বল্পেনা-আমার বাড়ীতে মান আহার