পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eassets\s 2ܐ* মহাকালের মন্দির খুব প্রাচীন। কিন্তু, দেখে দেড়শ বছরের আগের বলে মনে হয় না। অনেকে অনুমান করেন যে, ভীমরাজ পাবারকের পুত্ৰ উদয়াদিত্য এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন। মুসলমান-ভূপতির অকীৰ্ত্তিও এর উপর দিয়ে নিৰ্ব্বিবাদে বয়ে গেছে—তারও নিদর্শন বহু বহু পাওয়া যায় ; এবং অনেকে বলেন যে, সম্রাট অলতমশ মহাকালের উপর চড়াও হয়ে তার দেবালয় ও অন্যান্য মন্দির ভূমিসাৎ ক’রে দেন । এই সংহার থেকে মহাকালকে কতকটা উদ্ধার ক’রে গেছেন সিন্ধিয়ার রাণীজী দীবান ও রামচন্দ্র বাবা শেনবীণ। যে সব মন্দির মুসলমানেরা নষ্ট করে ফেলেছিল, তার সবই প্রায়ই এরা নূতন করে গ’ড়ে দিয়ে অবন্তী-মাহাত্ম্য রক্ষা করবার চেষ্টা করে গেছেন। মহাকালের অসীম অনুগ্রহে মন্দিরের পার্শ্বে চৌরণী কুধু কোটীতীর্থ নামে প্ৰসিদ্ধ একটী তীৰ্থকুণ্ড আছে। বর্ষায় এই কুণ্ডের জল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে ব’লে শোনা গেল। পাণ্ডারা বলেন কোটীতীর্থ দৰ্শন-স্পর্শনে সর্বপাপ মোচন হয়। এই ধারণায় বহু লোকের সমাগমে এই তীর্থ সব সময়ই জনবহুল হয়ে আছে। আরও প্ৰবাদ আছে যে, এই কুণ্ডের স্নিগ্ধ জলে মহাকাল নিজেও স্নান ক’রে থাকেন। শ্ৰীমন্ত মহারাজ সিন্ধে, হোলকার মহারাজ, এবং পাম্বার সরকার এই তিন রাজ্যের তরফ থেকে মহাকালের সেবার বন্দোবস্ত আছে। এই বন্দোবস্তের জন্যই মহাকালের ত্রিকালীপূজা হয়। প্ৰাতঃকালে ভস্মপূজা, দ্বিপ্রহরে ভোগপূজা, আর সন্ধ্যায় পুষ্পপূজা হয়ে থাকে। মহাকালের পূজার নৈবেদ্য পূজারী গোস্বামীরাই নিয়ে থাকেন। মহাশিবরাত্রির সময় এই মহাকালদেবের নিকট বহু ভক্ত নরনারীর সমাগমে স্থানটি মনোরম দৃশ্য ধারণ করে এবং সেই উপলক্ষে তিন-দিনব্যাপী মেলা হয়। আর এই তিন দিনই নূতন নূতন সজ্জায় মহাকালকে ভূষিত করে অষ্ট