পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাত্ৰভু *ܐܔ<. আসব, আর পরদিন প্ৰত্যুষে মাণ্ডু যাব। তারপর উজ্জয়িনীতে বিলম্ব হয়ে হাওয়ায় আমরা সেদিন রাত দুইটার সময় ইন্দোরে ফিরে আসি, আর রাত না পোহাতেই মাণ্ডু যাবার জন্য প্রস্তুত হই ; এ কথা পূৰ্বেই বলেছি। তাই, ভোর চারটি বাজতে না বাজতেই যখন সদা-জাগ্ৰত প্রমথবাবু এসে ডাকলেন “দাদা উঠুন, এখনই মাধু যেতে হবে,” তখন বাক্যব্যয় না করে উঠে পড়লাম এবং সেই দারুণ শীতের মধ্যে তন্দ্ৰা জড়িত অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি আমাদের জন্য একখানি ‘বাস” দাড়িয়ে আছে। এ ত্ৰিশে ডিসেম্বর ভোর-বেলার কথা । একে ভয়ানক শীত, তাতে সারারাত্রি নিদ্রা হয় নাই ; বাসের মধ্যে আর কে কে আছেন, সেই অন্ধকারে তা বুঝতে পারলাম না। বাসে উঠে এক পাশে ব’সে পড়লাম। পাচটা বাজুবার পূর্বেই গাড়ী ছেড়ে দিল। মনে করেছিলাম, গাড়ীর মধ্যে একটু চোক বুজে বস্ব ; কিন্তু তা কি হবার যে আছে,-যে ঝাকুনি, তাতে মরা মানুষও জেগে ওঠে। যেতে হবে ষাট মাইল পথ। মাইল দুই তিন যাবার পরই পূর্বদিক একটু ফরসা হোলো। তখন দেখলাম ‘বাসে’র আরোহী চোদ্দ জন । এই চোদ জনের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন ; তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় বন্ধু, সুপ্ৰসিদ্ধ চিত্ৰ-শিল্পী শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্ৰকুমার গুপ্ত মহাশয়ের সহধৰ্ম্মিণী । মণীন্দ্ৰবাবুও যে আমাদের সঙ্গী, সে কথা না বললেও চলে। এই ত আমরা চোদ জন মাত্র যাত্রা ; কিন্তু শুনেছিলাম আরও অনেকে যাবেন । তঁরা কোথায় ? আমাদের কেদার দাদা ( শ্ৰীযুক্ত কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ) ও তঁর সঙ্গী শ্ৰীমান সুরেশচন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তীরও যে মাণ্ডু দেখতে যাওয়ার কথা ছিল ; তারা কৈ ? তখন জানতে পারা গেল যে, পূর্বদিন অর্থাৎ ২৯ শে ডিসেম্বর শনিবার মধ্যাহ্বকালেই প্ৰকাণ্ড একদল তিন চারখানা ‘বাস” বোঝাই হ’য়ে মাধু যাত্ৰা করেছেন । তঁরা