পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sessers a No রাত্ৰিতে ধারের ডাক-বাংলায় থাকবেন এবং খুব ভোরে সেখান থেকে যাত্ৰা । করে মাধু দেখে দিব। দ্বিপ্রহরের মধ্যেই ইন্দোরে ফিরে আসবেন । ইন্দোর থেকে ধার বা ধারা নগরী চল্লিশ মাইল ; আর ধার থেকে মাণ্ডু ठूछि भाग्नेन । - আমরা যখন ধারে পৌছিলাম, তখন সাড়ে সাতটা । ডাক-বাংলার সম্মুখে গিয়ে দেখি প্ৰকাণ্ড একটা দল মাণ্ডু যাবার জন্য প্ৰস্তুত হয়েছেন। তঁরা সংখ্যায় প্ৰায় ত্ৰিশজন। আমাদের কেদার দাদাও সেই দলে আছেন। পাঁচ ছয়টী মহিলাকেও দেখলাম। র্তারা সবাই পূর্বদিন সন্ধার সময় এসে এই ডাক বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং এখানেই রাত্রির ভোজন শেষ করেছিলেন!! খুব ভোরে উঠেই তাদের মাণ্ডু যাবার কথা ছিল, কিন্তু প্ৰান্তরাশের ব্যবস্থা করতে করতে তাদের বেলা হয়ে গিয়েছিল। তঁরা কিন্তু সে কথা স্বীকার করলেন না ; কেদার দাদা বললেন “আগের দিন এগিয়ে আছি ব’লেই কি আপনাদের ফেলে মাণ্ড যেতে পারি দাদা ! তাই এতক্ষণ পথের দিকে চেয়ে আছি।” তঁরা তখন যাত্ৰামুখী ; সুতরাং আমাদেরও সেখানে আর অপেক্ষা করতে হোলো না। আমাদের সঙ্গী, চিত্ৰ-শিল্পী গুপ্ত মহাশয় ও তার সহধৰ্ম্মিণী, যে ‘বাসে” মহিলারা ছিলেন, उाश्रेष्ठ গেলেন। তাতে আমাদের ভার লাঘব হোলো না ; আমরা ধার থেকে আর একটী সঙ্গী সংগ্ৰহ করলাম। ইনি ধার ইংরাজী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত সত্যচরণ ঘোষ মহাশয়। ধারে তিনিই একমাত্র বাঙ্গালী। সত্যবাবুকে সঙ্গী পেয়ে আমাদের ভারী সুবিধা হয়েছিল—এমন “গাইড’ কিন্তু আর কেউ পান নাই। সত্যবাবু। অনেকদিন এই দেশে আছেন। তঁাকে দেখলে বাঙ্গালী ব’লেই মনে হয় নৗ-চাল চলন, পোষাক-পরিচ্ছদ সব মারাঠীর মত। তা ব’লে বাঙ্গালা ।