পাতা:মনঃকল্পিত ইতিহাস - প্রথম ভাগ.pdf/১০৭

( ճե ) বিরুদ্ধ কার্য্যে কোন ক্রমেই শঙ্কা করিলাম মা ! একথা শ্রৰণে মদ গুৰু বিজ্ঞান কি কহিবেন । আহা ! তাহার এত পরিশ্রম এই অনধিকারিণী ছুশ্চরিত্র রিপুবশবৰ্ত্তিনী হইতেই সব নষ্ট হইল । হা ! পিতাই বা কি ভাবিবেন ? মাতাই বা কি বলিবেন ? এইক্ষণে জীবনে জীবন বিসৰ্জ্জনই বিধেয় । এই বলিয়। মরণোদ্যত হইলে সখীগণ হস্ত ধারণ পুরঃসর কহিল, হে ধীরে ? শাস্তু সুশীলে, যে কার্ঘ্যে প্রবৃত্ত হইয়াছ, তোমার ন্যায় গুণবতী সতীগণ এ কার্য্যকে সৎ কার্য বলিয়া গণ্য করেন না । আর যদি ইহাই করণীয় হয়, তবে স্মরণ করিয়া দেখুন, আপনিই ভ্রমুখে বলিয়া ছিলেন, “ যে মনুষ্য, সৎ, কি অলং যখন ষে কাৰ্য্য মনস্থ করিৰে, বিদ্যা দেবীর বিনামুমতিতে যেন কখন সে কার্ষ্যে প্রবৃত্ত হয়না ,, অতএব আমারদিগের প্রার্থনা, তাহাকে এ বিষয় জ্ঞাত করিয়া যাহা বিবেচনা সিদ্ধ হইবে তাহাই করিলে ভাল হয় । বদন্যত কহিলেন, সখি ! এ মন্ত্রণা উপযুক্ত বটে, কারণ, তাহার অজ্ঞাত কার্য্যে মনুষ্যের কখনই হিত হইতে পারে না ।