পাতা:মনঃকল্পিত ইতিহাস - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( లీచి ) বচনে হাস্য বদনে পরমার্থ কহিলেন, পিয়ে ; অনঙ্গের কি আশ্চৰ্য্য রঙ্গ, পরমার্থ সঙ্গ সত্তেও সুখের ভঙ্গ করিয়া তোমাকে দুঃখের তরঙ্গমধ্যে পাতিত করিয়াছে, এই বলিয়া নিজ প্রভাবে বদান্যতার কদৰ্পপ্রদত্ত মোহকে দূরীভূত করিয়া বলিতে লাগিলেন, হে চন্দ্রাননে ! দেখ দেখি এই আকাশস্থ চন্দ্ৰম যিনি সুস্নিগ্ধ কর অমৃতবৎ রশ্মি দ্বারা জগৎ রসযুক্ত করিতেছেন, তিনি স্বয়ং প্রভাকর নহেন, দিবায় যে প্রভাকরের প্রচণ্ড প্রভাতে ভূমণ্ডল পরিশুষ্ক করিয়া জীবন গ্রহণ করতঃ জীবগণের জীবন নাশোদ্যত ছিল, চন্দ্র সেই প্রবল প্রতাপোস্তাপিত প্রভা প্রাপ্ত হইয়াপ্রভূত প্রাণিগণের তাপিত প্ৰাণ পরিতৃপ্ত করিতেছেন। যদি স্থির চিত্তে মনুষ্য এই অদ্ভুত পরিবর্তনতার বিষয় চিন্তা করিয়া সেই অচিন্তনীয় বিশ্বনিয়ন্তার অনিৰ্ব্বচনীয় কার্যের প্রতি পাতি পূর্বক অবলোকন করে, তবে তজ্জনিত যে সুখানুভব হয়, সেই সুখের সহিত তুলনা করিতে পারা যায় ত্রিলোক মধ্যে এমন কোন পদার্থই দৃষ্টি হয়না । অতএব এই সমস্ত তত্ত্বানুসন্ধায়ী জনের মনে নিশির শোভা, কি দিবার