( ১৩৯ ) প্রস্তর তুল্য জ্ঞান করিয়াছেন, তব কাৰ্য্য কৌশলে অদ্য সেই সুবদনী ধূল্যবলুপ্তিতকলেবরে পরম মুখ লাভ করিতেছেন। ) পরে বদান্যতার পৃষ্ঠ দেশে হস্ত প্রদান করিয়া কহিলেন, বদান্যতে ! এ অবস্থা প্রাপ্ত স্ত্রীলোকদিগের সদত সাবধান থাকিতে হয়, এবং যাহাতে মনোমধ্যে অনুক্ষণ আনন্দোম্ভব হয়, তাহার উপায় চেষ্টাই সৰ্ব্বতে ভাবে বিধেয়, যেহেতু প্রস্থতির অন্তঃকরণ যত প্রফুল্ল থাকিবে, ততই সন্তান পক্ষে মঙ্গলদায়ক, অতএব দিবা নিশি কেলি কুতূহলে কাল হরণ করিবে, আর যে কোন দ্রব্যাহারে শ্রদ্ধ জন্মে, তৎক্ষণাৎ তাহ ভোজন করিতে অন্যথা করিৰে ন, অঙ্গ সঞ্চালনাদিতে সদত সচেতন থাকিবে, নিশা কালে একাকিনী কোন স্থানে গমনেচ্ছ হইবে না, এবং শরীর মঙ্গ্য যখন যে ভাবের উদয় হইবে, সেইকালেই তাহ প্রকাশ করিবে, কোনক্রমেই তাহ লজ্জারবিষয় বলিয়া জ্ঞান করিবে না। রাণী এইৰূপে যত উপদেশ বাক্য কহিতেছেন, বদান্যতা, লজ্জাভয়ে ততই নতবদন হইতেছেন। কমলাঙ্গীর সঙ্গ যেন ভগ্ন রম্ভাতরুর ন্যায় ভূমিসাৎ,
পাতা:মনঃকল্পিত ইতিহাস - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।