পাতা:মনঃকল্পিত ইতিহাস - প্রথম ভাগ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I to তার কি কখনও অনিষ্ট করিতে হয়? উপযুক্ত কাল পাইলেই সে আপনাআপনিই আবিভূত হইয়া । থাকে, এই হেতু পণ্ডিতেরা তাহাকে মনোসিজ বলিয়া ব্যাখ্যা করেন। যেমন জ্বর মৃত্যু প্রভূতি আপন আপন সময় প্রাপ্ত হইলে বিনা আহ্বানেও আগমন কবিয়া শরীরীদিগকে বিধ্বংশ করে, তদ্রুপ দুরাত্মা মদন, স্বকাল পাইলে মনুষ্যদিগকে দুঃখৰূপ সাগরে নিমগ্ন করিতে কোনমতেই ক্ষান্ত থাকে না । অর্থ কহিলেন, বন্ধো ! এ পাপিষ্ঠের হাত হইতে কি কেহই মুক্ত হইতে পারে না ? অহঙ্কার কহিলেন, ইহার হস্তে পতিত হন নাই এমন ব্যক্তি যে ত্ৰিলোকে আছেন ইহা আমার বুদ্ধিতে ভাইসে না । কেন না প্রাণী স্কুতে প্রাণী উৎপাদনের কারণ ইহাকেই বোধ হয় । তবে শরীর মন্দিরের চক্ষুৰূপ দ্বারে যদি ধৈর্য্যৰূপ প্রহরী রক্ষা করিয়া মনের কুপথ গতি রোধ করিতে পারা যায়, তাহ হইলে, ঐ দুর্দান্ত আপন ইচ্ছাধীন প্রবল না হইয়া সামান্য ভাবেই থাকে, এই মাত্র বলিতে পারি। যদি বলেন, নয়ন-বিহীন জনের মদনের অধিকার নাই, তাহারা বাহে চক্ষু-বিহীন বটে, কিন্তু অন্তরস্থ