এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ মনোগণিত | এই গুলি অগ্ৰেই অত্যুত্তমরূপ অবগত হওয়া আবশ্যক। শতিকার পর কড়ানিয়া, গণ্ডাকিয়া, পণকিয়া বুড়িকিয়া, চৌকিয়া, কাঠাকিয়া, সেরকিয়া, দশকিয় এইগুলি মুখস্থ করা উচিত। তাহার পর যোগাবলী, বিয়োগবলী, নামতী, সওয়া, দেড়িয়া, ও আড়াইয়া কণ্ঠস্থ করিতে হইবে । ধারাপাতের কিয়দংশ শেষ না করিয়া যে পাটগণিত কেন আরম্ভ করান যায় না তাহার কারণ অতি সহজ, যেহেতু বালকের পাটীগণিতের প্রক্রিয়া সমুদায় তখন উত্তমরূপে বুঝিতে পরিবে না। ধারাপাতের এই পৰ্য্যন্ত মুখস্থ হইলে পাটীগণিত আরম্ভ করিবে এবং সংখ্য সমূহের প্রকৃতি, অঙ্কলিখন, ও অঙ্কপঠন উত্তমরূপে শিখিবে । মিশ্র রাশির আর্য্য৷ আরম্ভ করিবার পুৰ্ব্বে বিভাগ প্রণালীগুলি ভাল করিয়া মুখস্থ করিবে এবং মিশ্র রাশির বিভাগ প্রণালী অঙ্কপাত, অঙ্ক পঠন ও প্রকৃতির সহিত কড়ানিয়া ইত্যাদি তুলনা করিয়া উহাদের যুক্তিগুলি বুঝিবে। কড়ানিয়া, গগুকিয়া ইত্যাদিগুলি মুখস্থ করিলে লঘুকরণ প্রক্রিয় মুখে মুখে সমাহিত হইবে । গুণন শিখিবার সময় নামতার যুক্তি এবং ভগ্নাংশ অভ্যাস করিবার সময় সওয়া দেড়িয়া ইত্যাদির যুক্তি শিখিবে। এগুলি মুখস্ত করিতে পারিলে যে গণিতের প্রক্রিয় অনেক সহজ হইবে তাহা বল। বাহুল্য । - শতিকা । ৩। বস্তুর সংখ্যা গণনা করিতে হইলে শতিক ব্যবহার করা যায়। মনেকর, আমার নিকট কতগুলি কলম আছে, কত গুলি আছে জানিতে হইলে উহাদিগকে এক, দুই ইত্যাদি করিয়া গণিয়া উহাদের সংখ্য জ্ঞাত হওয়া যায়। শতিক পাঠ করাইতে হইলে শিক্ষক পাশ্ব প্রকাশিতের ন্যায় একটী বলফ্রেম বা গণনক লইয়া স্বীয় টেবলের