পাতা:মনোরম্য ইতিহাস.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১৪ ]

বাক্য কহিতে হইবেক যেমন তাহাতে আমার মানের ত্রুটি না হয়। যেহেতুক (কথার নাই খা) যদি এমত কোন কথা হয় যে তাহার দ্বারা আমার মানের লাঘবতা জন্মে, তবে তাহা কহা অতি অকর্ত্তব্য। কেননা (যাক প্রাণ থাক মান) অতএব তাহাহইতে আমার এই পেটরার মধ্যে মরণ শ্রেয়। এই সকল আন্দোলনপূর্ব্বক কিছু প্রকাশ না করিয়া সৰ্প মনোদুঃখে এক দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল, যেহেতুক (জ্ঞানি লোকের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না) কিন্তু মূষিক সর্পের দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করা দেখিয়া অতিশয় সঙ্কিত হইল; কেননা (ক্ষুদ্র লোক যদিও বড় লোকের প্রতিপন্ন হয়, তথাচ তাহার লঘুতা স্বভাবতঃ সর্ব্বদা সামান্য বিষয়েতেও শঙ্কিত থাকে) সুতরাং সর্পের স্কন্ধে আরোহণ হইতে ইন্দুরের প্রার্থনা করা যে অতি অসম্ভব ইহা তাহার মনে বিলক্ষণ দৃঢ়তা ছিল। আর (সামান্য ব্যক্তির গুরুতর ইচ্ছা হইলে সে আপন মনের ক্ষীণতাক্রমে সর্ব্বদা উদ্বিঘ্ন থাকে) পরে মূষিক মনে মনে স্থির করিলেক, যে (ইতরের মরণ কাতরে) হায় হায় বুঝি আমার মরণ এক্ষণে