আহদী হিন্দু রাজপুত; সে হিন্দীতে বলিল, “মাইজী, আমি হজরৎ বাদশাহ্ বেগমের নিকট হইতে আসিতেছি, বৃন্দাবন হইতে পুরোহিত আসিয়াছেন।”
ভিতর হইতে বিনোদিনী কহিল, “তুমি যেই হও এখন দাঁড়াও, আমার বেটা বাহিরে গিয়াছে, না আসিলে দুয়ার খুলিব না।”
পুরোহিত রাত্রি অধিক হইয়াছে দেখিয়া বলিলেন, “মা, তোমার কোন ভয় নাই, আমি বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ; রাত্রি অধিক হইয়াছে, দুয়ার খুলিয়া দাও।” বাদশাহ্ বেগমের দাসীও ভরসা দিল, তখন বিনোদিনী দুয়ার খুলিল।
গৃহদ্বারে দাঁড়াইয়া আহদী জিজ্ঞাসা করিল, “মাইজী, তোমার বেটী কোথায় গিয়াছে?” বিনোদিনী কহিল, “দেওয়ান-ই-খাসে।”
কাল্মক্ তাহাদের নিকটে অন্ধকারে লুকাইয়া ছিল। সে এই কথা শুনিয়া সেই স্থান হইতে সরিয়া পড়িল। দূরে বৃক্ষ তলে তাহার সঙ্গিনী লুকাইয়াছিল, সে তাহার নিকটে গিয়া বলিল, “কাজ হাসিল করিয়াছি।”
রমণী জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে?” “আর কতটা সরাব আছে?” “দুই শিশি।” “একটা শিশি আমাকে দে।” “কেন আগে বল্।” “কাজ হাসিল করিয়াছি।” “কি কাজ তাহা বল্না।” “মরদ্টার পাত্তা পাইয়াছি।” “কি পাত্তা