এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বিংশ পরিচ্ছেদ
১৩৫
খোজা ও তাতারী প্রহরী আসিয়া পড়িল, তাহার রজ্জুবদ্ধ তাতারী প্রতিহারীকে দেখিতে পাইল; কিন্তু সেই কৃষ্ণবর্ণ খর্ব্বাকৃতি মনুষ্যকে খুঁজিয়া পাইল না।
বিংশ পরিচ্ছেদ
অন্বেষণে
দ্বিতীয় প্রহরের নৌবৎ বাজিয়া থামিয়া গেল, তখনও ময়ূখ গৃহে ফিরিলেন না দেখিয়া বিনোদিনী বড়ই চিন্তিতা হইয়া পড়িয়াছিল। তর্করত্ন দীর্ঘকাল পরে ময়ূখের সন্ধান পাইয়া দেশে ফিরিবার ব্যবস্থা করিতেছিলেন এবং ললিতার বিবাহ, গৌরীপুরে প্রত্যাগমন, পরগণা বারবক্ সিংহের সনন্দ প্রাপ্তি ইত্যাদি নানা কথায় রাত্রির প্রথম দুই প্রহর কাটিয়া গেল। দিল্লী ফটকে মধ্যরাত্রির নৌবৎ আরম্ভ হইলে, বিনোদিনীর চেতনা হইল। তর্করত্ন তাহাকে চিন্তিতা দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, কি ভাবিতেছ?” তখন বিনোদিনী কহিল, “বাবা, অনেক রাত্রি হইয়া গেল, বাপ আমার ফিরিল না কেন?”
“কত রাত্রি হইয়াছে?”
“দ্বিতীয় প্রহর শেষ হইয়া তৃতীয় প্রহর আরম্ভ হইল।”