এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮
ময়ূখ
এই প্রথম, গঞ্জালিস্ আজি হইতে আমার প্রতিশোধ আরম্ভ। বাঙ্গালাদেশ ফিরিঙ্গী দস্যুর অত্যাচার হইতে মুক্ত করিব।” সন্ন্যাসী জলে নামিল এবং স্রোতে গা ভাসাইয়া দিয়া দক্ষিণাভিমুখে চলিল।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
সমাজ-শাসন
“এইবার গোঁসাইজীকে দেখিয়া লইব। ধর্ম্ম আছেন, ব্রাহ্মণের উপরে অত্যাচার কখন সহ্য হয়? দর্পহারী মধুসূদন, তুমি সত্য। আমি ফুলের মুখুটী, বিষ্ণু ঠাকুরের সন্তান, আমার উপর অত্যাচার?”
ভাগীরথীর পশ্চিম পারে একখানি ক্ষুদ্র গ্রামে একটি প্রাচীন অশ্বখ বৃক্ষের নিম্নে ইষ্টকনির্ম্মিত বেদীর উপরে বসিয়া কতিপয় বৃদ্ধ ও প্রৌঢ় সমাজসংস্কারে ব্যাপৃত ছিলেন। তাহাদিগের মধ্যে একজন বক্তাকে কহিলেন, “ওহে হরিনাথ, এখন কি করা যায় বল দেখি?”
“আবার কি? গোঁসাই আমার যে ব্যবস্থা করিয়াছিল তাহারও সেই ব্যবস্থা; আজি হইতে রাধামোহন গোস্বামীর