ইয়াছিলেন, তিনি ফিরিয়া দেখিলেন যে ময়ূখের গণ্ডস্থলে স্রোতের ন্যায় অশ্রুধারা বহিতেছে।
সেই মুহূর্ত্তে আগ্রার এক দরিদ্র পল্লীর প্রান্তভাগে জনৈক দীর্ঘাকার গৌরবর্ণ সন্ন্যাসী দ্রুতবেগে পথ চলিতেছিল। সেই পল্লীর এক ক্ষুদ্র গৃহের বহির্দ্দেশে এক গতযৌবনা রমণী কাহার প্রতীক্ষায় দাঁড়াইয়াছিল। সন্ন্যাসী তাহাকে দেখিয়া চমকিত হইয়া দাঁড়াইল। রমণীও সন্ন্যাসীকে দেখিল, তাহার সর্ব্বাঙ্গ, কম্পিত হইল। সন্ন্যাসী দূর হইতে ডাকিল, “বিনোদিনী!”
কণ্ঠস্বর শুনিয়া রমণী মূর্চ্ছিতা হইল। তখন সন্ন্যাসী ঊর্দ্ধশ্বাসে সেই স্থান পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল।
সেই দিন অপরাহ্নে সেইরূপ একজন গৌরবর্ণ দীর্ঘাকার প্রৌঢ় গুম্ফশ্মশ্রু জুটাজুট মণ্ডন করিয়া কাশেমখাঁর আহদী সেনাদলে প্রবেশ করিল।
মুক্তিলাভ করিয়া ময়ূখ কাশেমখাঁর সহিত বাঙ্গালায় ফিরিয়া আসিলেন। বাঙ্গালার সুবাদারী গ্রহণ করিয়া কাশেম ইয়ার খাঁ হুগলীর পর্ত্তুগীজগণের বিনাশের উদ্যোগ আরম্ভ