পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ
১৬৯

করিলেন। সুবাদারের পুত্র এনায়েৎউল্লা, সেনাপতি আল্লা ইয়ার খাঁর সহিত হিজ্‌লী আক্রমণ করিবার ছলে সসৈন্য বর্দ্ধমানে পৌঁছিলেন। হুগলী আক্রমণের উদ্দেশ্য জানিতে পারিলে পাছে হুগলীর পর্ত্তুগীজগণ জলপথে পলায়ন করে, সেই জন্য মখ্‌সুসাবাদে বহাদর খাঁ কাম্বোহ ও নাওয়ারার সমস্ত কোশা ও গরাবের সহিত খাজা শের শ্রীপুর হইতে সুন্দরবনে প্রেরিত হইলেন। স্থির হইল যে, নাওয়ারা পর্ত্তুগীজগণের জাহাজ যাইবার পথ রুদ্ধ করিলে, আল্লা ইয়ার খাঁ বর্দ্ধমান হইতে এবং বহাদর খাঁ কাম্বোহ মখ্‌সুসাবাদ হইতে হুগলীর দিকে অগ্রসর হইবেন।

 এই সময়ে ফিরিঙ্গিগণ একদিন সপ্তগ্রামে গোকুলবিহারী শেঠের গৃহ আক্রমণ করিল। প্রতিশোধ লইবার জন্য গোকুলবিহারী ও সপ্তগ্রামের ফৌজদার হুগলী আক্রমণ করিলেন। যে দিন হুগলীর দুর্গ আক্রান্ত হইল, তাহার পরদিন রাঢ় হইতে ময়ুখ এবং বাগ্‌ড়ী হইতে বহাদর খাঁ গোকুলবিহারীর সহিত মিলিত হইলেন। এই সময়ে খাজা শের কোশা ও গরাব দিয়া সুন্দরবনের জলপুথ রুদ্ধ করিয়া হুগলীর দিকে অগ্রসর হইলেন। তখন বর্দ্ধমান হইতে এনায়েৎ উল্লা খাঁ ও আল্লা ইয়ার খাঁ হুগলী অভিমুখে যাত্রা করিলেন। ১৯৪০ হিজরায় অর্থাৎ ১৬৩৯ খৃষ্টাব্দে হুগলীর পর্ত্তুগীজ দুর্গ চারিদিক্‌ হইতে আক্রান্ত হইল। পর্ত্তুগীজ পাদ্রী ও ফিরিঙ্গি হার্ম্মাদের অত্যাচারে প্রপীড়িত দক্ষিণ বঙ্গের অধিবাসিগণ দলে দলে বাদশাহী ফৌজে প্রবেশ