এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চতুৰ্বিংশ পরিচ্ছেদ
১৭৩
গঞ্জালীস জলপথে পলায়নের চেষ্টা করিতেছিল। সে বন্দী হইয়া ময়ূখের নিকটে আনীত হইল। গঙ্গাতীরে গঞ্জালীসের রক্তসিক্ত বালুকায় চিতা রচিত হইল, তাহাতে সন্ন্যাসীর দগ্ধাবশিষ্ট দেহ স্থাপিত হইল। বোধ হয় পরলোকে ব্রাহ্মণের আত্মা তৃপ্ত হইয়াছিল।
পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ
পরিশিষ্ট
শীতের অপরাহ্ণে একখানি ক্ষুদ্র নৌকা আগ্রা দুর্গের অনতিদূরে শ্যামল তৃণক্ষেত্রের সম্মুখে আসিয়া লাগিল। নৌকায় একজন নাবিক ও দুইজন আরোহী ছিল, তাহা্রা অবতরণ করিল। আরোহিদ্বয়ের একজন পুরুষ ও অপর জন রমণী। পুরুষ নাবিককে জিজ্ঞাসা করিল, “ভুবন, সমাধি কোথায়?”
নাবিক যমুনাতীরে হরিদ্বর্ণ দূর্ব্বাক্ষেত্র দেখাইয়া দিল, আরোহিদ্বয় সেই দিকে চলিল।
তখন অস্তগমনোন্মুখ প্রৌঢ় তপনের হীনপ্রভ কিরণে রক্তবর্ণ পাষাণনির্ম্মিত আগ্রার দুর্গের শীর্ষে শুভ্র মতি মস্জিদের শুভ্রতর মিনার সুবর্ণবর্ণে রঞ্জিত হইতেছিল। উচ্চ ভূখণ্ডে