পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৪
ময়ূখ

ব্রাহ্মণ কহিলেন, “আমরা শূদ্রগৃহে ফলাহারও করি না। বাবাজী, তোমাদিগের বোধ হয় আহার হয় নাই?” “আজ্ঞা না।” “ভাল, অদ্য তোমরা আমার অতিথি।” “ঠাকুর মহাশয়ের অন্ন প্রসাদ পাইব না ফলাহার করিব?” “এবেলা অন্ন প্রসাদ পাইবে ওবেলায় ফলাহার করিও। ভুবন, মহারাজ হয় ত ফিরিঙ্গির হাতে বন্দী হইয়াছেন, আমরা আহারান্তে নৌকা লইয়া হুগলী যাইব, তুমি নৌকায় পাকের উদ্যোগ কর।” “যে আজ্ঞা।”

 সকলে ভুবনের নৌকায় আরোহণ করিলেন।


দশম পরিচ্ছেদ

 সেই দিন অপরাহ্নে ত্রিবেণীতে মুকুন্দদেবের ঘাটের অনতিদূরে একখানি বৃহৎ বজরা হইতে মধুর সঙ্গীতধ্বনি উখিত হইতেছিল; মধ্যে মধ্যে সঙ্গীতের পরিবর্ত্তে সেতারের মিঠা আওয়াজ শুনা যাইতেছিল। তীরে গীত বাদ্য শুনিবার জন্য লোক জমিয়া গিয়াছিল। বজ্‌রার মধ্যে একটি প্রশস্ত কক্ষে গালিচার উপরে বসিয়া একটি যুবতী সেতার বাজাইতেছিল, তাহার পার্শ্বে বসিয়া আর একটি যুবতী সঙ্গীত করিতেছিল, কক্ষের প্রান্তে একখানি ক্ষুদ্র হস্তিদন্তের খট্টায় একজন গৌরবর্ণ যুবক শয়ন করিয়াছিল। যুবক চেতনাহীন, তাহার সর্ব্বাঙ্গে