সপ্তগ্রাম রক্ষা করিয়াছিল, আপনি নাকি তাঁহার সন্ধান করিতেছেন?”
“হাঁ হকিম, সে যুবা কাফের হইলেও বীর এবং সে আমার বন্ধুপুত্র। আপনি কি তাহার সন্ধান পাইয়াছেন?” “কল্য সন্ধ্যাকালে শাহ্নওয়াজখাঁর বজ্রায় এক গৌরবর্ণ যুবকের চিকিৎসা করিতে গিয়াছিলাম, তাহার পোষাক দেখিয়া তাহাকে কাফের বলিয়াই বোধ হইল।” “তাহার আকার কিরূপ?” “গৌরবর্ণ, দীর্ঘাকার, বলিষ্ঠদেহ।” “তাহার নাসিকায় কি অস্ত্রক্ষতের চিহ্ন আছে?” “আছে।” “সেইই, চিন্তামণি, নবাব শাহ্নওয়াজ খাঁ কোথায়?”
রাদন্দাজ খাঁ কহিলেন, “কল্য সন্ধ্যাকালে পিতা বজ্রায় সপ্তগ্রাম ত্যাগ করিয়াছেন, তাহার পর আর তাঁহাদিগের সন্ধান পাওয়া যায় নাই।” চিন্তামণি মজুমদার কহিলেন, “বন্দরের দারোগা সংবাদ দিয়াছে যে কল্য সমস্ত রাত্রি কোন নৌকা বা বজ্রা হুগলী হইতে সপ্তগ্রামের দিকে আসে নাই।”
আসদ্। হরিনারায়ণ, তুমি নাওয়ারার একখানি কোশা লইয়া দক্ষিণদিকে যাও, দেখ সপ্তগ্রাম অবধি শাহ্নওয়াজখাঁর বজরা দেখিতে পাওয়া যায় কিনা? রাদন্দাজ খাঁ, আপনি ত্রিবেণীর বন্দরে গিয়া নাওয়ারার যে কয়খানি ছিপ্ ও কোশা আছে তাহা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করিয়া রাখুন, আবশ্যক হইলে অদ্যই হুগ্লী আক্রমণ করিতে হইবে।
রাদন্দাজ। আমার পিতার সহিত আমার স্ত্রী আছেন,