পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भge \gश् दांड দুদিন ওরা সেখানে বেতারের আড়ায় কৰ্ম্মচারীদের অতিথি হয়ে রইল। তৃতীয় দিন খুব সকালে ক্ষুদ্র একখানা জাঙ্কে ওদের দশ মাইল দূরবর্তী উপকূলে নিয়ে যাওয়া হোল । বেতারে এই রকম আদেশই নাকি এসেছে। এই চীন দেশ ! যদি ঢেউ খেলানো ছাদ-আঁটা চীনা বাড়ী না থাকতো, তবে চীন দেশের প্রথম দৃশ্যটা বাংলা দেশের সাধারণ দৃশ্য থেকে পৃথক করে নেওয়া হঠাৎ যেতো না । উপকূল থেকে পাঁচমাইল দূরে রেলওয়ে ষ্টেশন। অতি প্ৰচণ্ড কড়া রৌদ্রে পদ-ব্ৰজেই ওদের ষ্টেশনে আসতে হোল । এদেশে ওদের জামাই আদরে কেউ রাখবে না, কঠিন সামরিক জীবন যে এখন থেকেই সুরু হোল ওদের-এ কথাটা সুরেশ্বর ও বিমল হাডে হাডে বুঝলে সেই ভীষণ রোদে বিশ্ৰী ধূলোেভরা রাস্তা বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে । তার ওপর বেতারের কৰ্ম্মচারীটি ওদের সঙ্গে ছিল, তার মুখেই শোনা গেল এ সব অঞ্চল আদৌ নিরাপদ নয়। দেশের রাজনৈতিক অবস্থার্থ গণ্ডগোলের সুযোগ নিয়ে চোর ডাকাত ও গুণ্ডার দল যা খুসি সুরু করেছে। তারা দিনদুপুরও মানে না। স্বদেশী বিদেশী ও মানে না । কারো ধন-প্ৰাণ নিবাপদ নয়। আজকাল । দেশ এক প্রকার অরাজক । শীঘ্রই এর একটা প্ৰমাণ পাওয়া গেল পথের মধ্যেই। ওরা একদলে আছে মাত্র চারজন। রৌদ্রে সুরেশ্ববের জল তেষ্টা পেয়েছিল-চীনা কৰ্ম্মচারীটীকে ও ইংরাজিতে বল্লে-একটু জল কোথাও পাওয়া যাবে ? রাস্তা থেকে কিছু দূরে একটা ক্ষুদ্র গ্রাম বা বন্তি। খানকতক খড়ের ঘর একজায়গায় জড়ো করা মাত্র। চীনা কৰ্ম্মচারীর পিছু পিছু ওরা বস্তির VO6