পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८° ‰ 2c সেবাইেব্রতী, ছাত্রদের নিয়ে হতাহতদের টেনে বার করা ও তাদের হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করছেন । এ্যালিস ও মিনির সঙ্গেও আলাপ করিয়ে দেওয়া হোল । বিমল বল্লে-প্রোফেসর লি, এই ছোট ছেলেটীর কি ব্যবস্থা করা যায় বলুন তো ? সদানন্দ, সৌম্য বৃদ্ধ হাত পেতে বল্লেন —আমায় দাও । তোমরা ওর বাপমায়ের সন্ধান করতে পারবে না, আমি পারবো । আর কি জানো, ছেলে অনেকগুলি জমেছে-চ্যাং, এদের নিয়ে চলে তো ? দেখবে এস তোমরা-যাবার পথে একটু দুব গিয়েই বিমল বলে উঠলো-আঃ, কি ব্যাপার দেখা । সকলেই দেখলে, সে দৃশ্য যেমন বীভৎস, তেমনি করুণ। সেই বৃদ্ধ ভিখারিণী ঠাং ছড়িয়ে মরে পড়ে আছে--সেই জায়গাতেই। একখান হাত প্ৰায় চুর্ণ হয়ে গিয়েছে-পাশেই তার ভিক্ষালব্ধ ভাত-তরকারিগুলো রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে। আশার জিনিসগুলো-মুখেও দিতে পারেনি श्gऊ ! এ্যালিসের চোখে জল এল। বিমল ও সুরেশ্বর মাথার টুপি খুলে ফেললে । মিনি চোখে রুমাল দিয়ে অন্যদিকে মুখ ফেরালে । কেবল অবিচলিত রইলেন প্রোফেসর লি । তিনি ছাত্রদেব বল্লেন, এই মড়াটাকে , - একটা কিছু ঢাকা দাও তো হে! এ আর কি ? আমাদের দেশের এ তো বোজ কাব্য ব্যাপার । এতে বিচলিত হোলে চলে না। भjjभ ! নিকটেই একটা ঘরের মধ্যে প্রোফেসর লি ওদের নিয়ে গেলেন। হারিকেন লণ্ঠনের আলোয় দেখা গেল সে ঘরের মেঝেতে পাঁচ ছয়ট নয় Gabr